সন্দীপের নতুন কু.কীর্তি প্রকাশ্যে, ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোই হয়নি!

ওই আইনজীবী বলেন, এই সন্দীপ ঘোষই হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ভাড়া বাবদ ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে এত সিসিটিভি লাগানোই হয়নি।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একের পর এক কুকীর্তি গত কয়েকদিন ধরে সামনে এসেছে।এবার সুপ্রিম কোর্টেও প্রকাশ্যে এল  আর্থিক দুর্নীতির প্রসঙ্গ।মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল।কিন্তু সেই সিসিটিভি বসানোই হয়নি হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে আইনজীবী করুণা নন্দী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, যদি সিসিটিভি থাকত, তাহলে এই ঘটনা ট্র্যাক করা সম্ভব হত।আমরা পাঁচ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে সামনে এনেছি।তারা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু তথ্য দেবেন। পাশাপাশি এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গেও কিছু তথ্য দেবেন। এর পিছনে একটা প্রাতিষ্ঠানিক সমঝোতা রয়েছে।

ওই আইনজীবী বলেন, এই সন্দীপ ঘোষই হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ভাড়া বাবদ ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে এত সিসিটিভি লাগানোই হয়নি। আমি এই বিষয়টি রাজ্য সরকারের গঠিত সিটেরও ভূমিকার বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।এর আগের শুনানিতেও আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। বিক্ষোভের মুখে পড়ে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।আবার ওইদিন বিকেলেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে তাকে পুনর্বহাল করা হয়।এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেই সময় রাজ্য জানিয়েছিল, তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

Previous article‘নবান্ন অভিযান’ নিয়ে সুপ্রিম-হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্য, রাম-বাম ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তোপ কুণালের
Next articleসিবিআইয়ের নজরে ঘটনার পর “উধাও” নির্যাতিতার ঘনিষ্ঠ দুই সহপাঠী!