রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের এডুকেশন হাব গড়তে মন্দারমণিতে ১৫ একর জমি দেবে রাজ্য

১৫ একরের ওই জমিটি  দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার অধীনে রয়েছে।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণিতে নতুন এডুকেশন হাব গঠন করা হবে। এজন্য রাজ্য সরকার কাঁথি মহকুমার রামনগর-২ ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ একর জমি দেবে। গত সপ্তাহেই মিশন কর্তৃপক্ষ ওই জমি পরিদর্শন করছেন।খুব শীঘ্রই সেই জমি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। ১৫ একরের ওই জমিটি  দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার অধীনে রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালে দিঘায় এসেছিলেন। দিঘা সারদা রামকৃষ্ণ সেবা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এডুকেশন গড়ার জন্য জায়গা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন সেই সময়ে। তারপর থেকেই সরকারিভাবে উদ্যোগ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মন্দারমণি এলাকায় আয়লা সেন্টারের কাছে প্রায় ১৫ একর সরকারি জায়গার খোঁজ পাওয়া যায়। সেই জমিই রামকৃষ্ণ মঠের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে।দিঘা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সম্পাদক স্বামী নিত্যবোধানন্দজি গত সপ্তাহে জায়গাটি পরিদর্শন করে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ জানা, শিক্ষক চিত্তরঞ্জন মাইতি সহ অন্যান্যরা। জমিটি তাঁদের পছন্দ হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ১৫ একরের ওই জমিটি এখন রয়েছে জায়গাটি দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার অধীনে। খুব শীঘ্রই তাঁরা সেই জমি তুলে দেবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের হাতে। এই প্রসঙ্গে স্বামী নিত্যবোধানন্দজি জানিয়েছেন, আমরা প্রস্তাবিত জায়গাটি দেখেছি। খুবই পছন্দ হয়েছে। শীঘ্রই আমাদের হাতে জায়গাটি তুলে দেওয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব, যেখানে সাধারণ মধ্যবিত্ত এমনকী দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করে দুঃস্থ মানুষকে সেবাদান করা হবে। বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষও এখানে এডুকেশন হাব গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ শুরু করবে। এব্যাপারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। তবে জমি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।