আর জি করের সেমিনার রুমে প্রমাণ নষ্ট হয়নি, দাবি কলকাতা পুলিশের

আর জি করের ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরালের ঘটনা নতুন নয়। সিবিআই তদন্তে ক্রমাগত দেরি করার ফলে সোমবার আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (ভিডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) যেখানে মূল ঘটনাস্থল দেখা গিয়েছে। আর সেই ঘটনাস্থলে বহু সন্দেহভাজন মানুষের ভিড় বলে দাবি করা হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে কলকাতা পুলিশ দাবি করেছে যে ভিড় সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছিল তা সবই নির্দিষ্ট ঘটনার ৪০ ফুটের বাইরে। পুলিশের ঘেরা জায়গার ভিতরে কখনই কেউ আসেনি দাবি করেন, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।

চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের তদন্তে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্ভরযোগ্য অগ্রগতি পেশ করতে পারেনি। প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তে বিচার পেতে যত দেরি হচ্ছে তত বিভিন্ন সংগঠন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এই ঘটনায় বিভিন্ন তত্ত্ব তুলে আনছে। সেভাবেই সেমিনার রুমের ঘটনার দিনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক, তাঁর আইনজীবী, ফরেনসিক বিভাগের প্রধান দেবাশিস সোম, স্থানীয় পুলিশ আউটপোস্টের ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় সহ প্রায় ৩০ জন।

ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে কলকাতা পুলিশ সাংবাদিক বৈঠকে জানায়, এঁদের উপস্থিতিতে প্রমাণ নষ্ট হয়নি। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায় দাবি করেন, সেমিনার রুমটি ৫১ ফুট বাই ৩২ ফুটের। ঘরের একটা অংশে মৃতদেহ ছিল। তার বাইরে ৪০ ফুট পর্যন্ত পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে ছিল। এই ৪০ ফুটের বাইরে যে ১১ ফুট সেখানে এই ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও যে অংশের দেখা গিয়েছে, তা ওই ১১ ফুট এলাকার বলে দাবি ডিসি সেন্ট্রালের। এবং এই এলাকাটিতে বহিরাগত কেউ ছিল না বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফে।

ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায় জানান, হাসপাতালের ডাক্তার, আধিকারিক থেকে মৃতার পরিবার, দাবি আদায়ের জন্য উপস্থিত ডাক্তাররা সেখানে ছিলেন। পুলিশ ঘেরাটোপের বাইরে সারিবদ্ধভাবে ছিল। সেই সঙ্গে ছবি তোলার কর্মীরাও ছিলেন। সবাই ১১ ফুটের মধ্যে ছিলেন, কেউ ভিতরে আসেননি। মৃতদেহের ৪০ ফুটের মধ্যে কেউ আসেননি।

Previous articleইউক্রেন সফর ঘিরে বিতর্ক! মোদি দেশে ফিরতেই চটে লাল পাকিস্তান
Next articleনিজেদের প্রয়োজনে ওকে হাতিয়ার করবেন না, আবেদন নির্যাতিতার বাবার