বনধের সমর্থনে কোলে মার্কেটে “দাদাগিরি” বিজেপি নেতার, অশান্তি পাকিয়ে আটক লকেট-রূপা

১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ ডেকে সাড়া না মেলায় দিকে দিকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বিজেপি (BJP) নেতা-নেত্রীদের। আজ, বুধবার সকাল থেকেই যখন কর্মনাশা বনধকে তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের কাজে যোগ দেন, ঠিক তখনই জোর করে বনধ সফল করার রাস্তা বেছে নেয় বিজেপি।

এদিন বন্‌ধের সমর্থনে শিয়ালদহের কোলে মার্কেটে বিজেপি (BJP) নেতা সজল ঘোষের বিরুদ্ধে কার্যত জোর করে দোকান বন্ধ করানোর অভিযোগ ওঠে। সকাল থেকে দোকানপাট খোলা দেখে বেলা গড়াতেই বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কোলে মার্কেট এলাকায় গিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদেরকে বন্‌ধে সমর্থন করার জন্য বলেন। অভিযোগ, সেই সময় কাউকে কাউকে দোকান বন্ধ করতে জোর করা হয়েছে। এরপরই তৃণমূলের সমর্থক একাংশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন সজলের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ধস্তাধস্তিতে শুরু হয়। পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়।

অন্যদিকে, শ্যামবাজারে জোর করে অবরোধের চেষ্টা করলে বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ। লকেটের সঙ্গে থাকা রাহুল সিনহাকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দেয় পুলিশ। সল্টলেক থেকে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ সংলগ্ন এলাকায় থেকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ধরপাকড় করা হয়েছে আরও অন্যান্য কর্মী-সমর্থকদেরও।

গড়িয়াহাটে বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বাসচালক ও যাত্রীদের কাছে তিনি বন্‌ধকে সমর্থন করার কথা বলেন। এর কিছু সময় পরেই জানা যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে আটক করা হয়েছে। বন্‌ধের সমর্থনে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ শুনতেও হয়েছে রূপাকে। তাঁকে ঘিরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন:বিজেপির বাংলা বনধে ভাটপাড়ায় ব্যাপক অশান্তি, চলল গুলি!

 

Previous articleকমবে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের জেলা থেকে সতর্কতা তুলে নিল হাওয়া অফিস
Next articleজঙ্গলের প্রেক্ষাপটে টানটান থ্রিলার-অ্যাকশন, সিনেপর্দায় প্রতিপক্ষ শিবপ্রসাদ-আবীর!