রাত পোহালেই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস! থাকবেন মমতা-অভিষেক, এবার বক্তা ছাত্রীরাও

রাত পোহালেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সমাবেশে এবার বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ছাত্রীদের দিয়ে বক্তৃতা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্রীরা ছাড়া যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমাবেশে বক্তব‌্য রাখবেন বলে নেত্রী জানিয়েছেন। এদিকে আগামিকাল ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। যদিও বনধ করে এইভাবে বাংলাকে অচল করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

তবে ২৮শের সভার প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বিশেষ করে ২১ জুলাইয়ের পর ফের অভিষেক দলের কর্মসূচিতে বক্তব‌্য রাখবেন এই সংবাদেই ছাত্র-যুবদের মধ্যে উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠা দিবসে দু’টি বাছাই গান গাইবে জয়ী ব‌্যান্ড। সূত্রের খবর, বেলা ১২টা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে মঞ্চে চলে আসার কথা মমতা-অভিষেক দু’জনেরই। এই প্রথম সমাবেশের মঞ্চ গত ১৩ বছরে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল‌্য ও প্রকল্প-পরিষেবা নিয়ে থিমে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। মঞ্চে রাজ্যের দুই বিশিষ্ট ব‌্যক্তিত্বকে সম্বর্ধিত করা হবে। সভায় থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরাও।

ছাত্র সমাবেশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই সংগঠনের প্রথম সভাপতি ও মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ‌্যায় এবং বর্তমান সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে খবর নেওয়ার পাশাপাশি গাইড লাইন জানিয়ে দেন স্বয়ং মুখ‌্যমন্ত্রী। এরপরই নেত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দূরের জেলা থেকে আসা কর্মীদের নেতাজি ইন্ডোর, ক্ষুদিরাম ও সল্টলেকে স্টেডিয়ামে থাকা ও খাওয়ার যাবতীয় ব‌্যবস্থা করে দিয়েছেন। সোমবার বিকেলেই ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে পৌঁছে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে এবার রেকর্ড সংখ‌্যক ছাত্র-ছাত্রী আসবে বলে আশা করছেন ছাত্র নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাত্রপরিষদ প্রতিষ্ঠা এবং বামবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে সমাবেশে একটি ৩১০ পাতার বই প্রকাশ করা হবে। ‘সাথী’ নামের ওই বইটির নামকরণ ও প্রচ্ছদের ভাবনা স্বয়ং মুখ‌্যমন্ত্রীর। বইয়ে মুখ‌্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা যেমন রয়েছে তেমনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা রয়েছে। থাকছে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ‌্যায়ের একটি পুরাতন লেখা। এছাড়াও ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কুমুদ ভট্টাচার্য, অশোক দেব, বিভাস চৌধুরি, অরূপ বিশ্বাস, বৈশ্বানর চট্টোপাধ‌্যায়, সৌরভ চক্রবর্তীদের অভিজ্ঞতা রয়েছে বইয়ে। সম্পাদনা করেছেন সন্দীপন মিত্র, ভূমিকা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর।

ভারী বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে মেয়ো রোডে সমাবেশস্থলে পুরো শেড দিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ। মঞ্চে এই প্রথম বিশেষ থিম থাকছে। নেত্রীর নির্দেশ মেনে সামনে শুধুমাত্র পাঁচ হাজার ছাত্রী বসবে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলার সমস্ত কলেজে থেকে বেশি সংখ‌্যায় ছাত্রীদের এই সমাবেশে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- বুধবারের বিজেপির কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করার ডাক আইএনটিটিইউসি-র

 

Previous articleবুধবারের বিজেপির কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করার ডাক আইএনটিটিইউসি-র
Next articleকর্মসংস্কৃতির বাংলায় কোনও বনধ নয়, সকাল থেকে সজাগ প্রশাসন