প্রতিবেশীকে কুপিয়ে খুন! বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা জলপাইগুড়ি আদালতের 

কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার রাগে প্রতিবেশীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে খুনের অভিযোগ! সেই খুনের ঘটনায় এবার অভিযুক্ত নিরঞ্জন মণ্ডলকে ফাঁসির সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত (Jalpaiguri District Court)। দীর্ঘ একবছর ধরে ট্রায়াল চলার পর বৃহস্পতিবার জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ফোর্থ কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর এই সাজা শোনান। একই সঙ্গে জেলা লিগ্যাল এইড সার্ভিসকে (Legal Aid Service) মৃত ব্যক্তির শিশু কন্যা ও স্ত্রীকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ এক বছর পর আদালতের এই রায়ে খুশি মৃত স্বপন বর্মনের পরিবার। যদিও এই নির্দেশের বিরোধীতা করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু অভিযুক্ত নিরঞ্জন মন্ডলের পরিবার।
২০২৩ সালের ৬ জুন শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। আদালত সূত্রে খবর, ২৯ বছরের স্বপন বর্মন পেশায় মিস্ত্রী ছিলেন। অভিযুক্ত নিরঞ্জন মণ্ডল স্বপনের সঙ্গেই কাজ করত বলে খবর। কিন্তু নিরঞ্জন অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকায় তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন স্বপন। এরপরই মাথায় রাগ উঠে যায় নিরঞ্জনের। প্রতিশোধের নেশা তাকে তাড়া করে বেড়ায়। এরপর ২০২৩ সালের ৬ জুন শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকায় স্বপনকে রাম দা চালিয়ে খুন করে নিরঞ্জন। ওই দিন সকালে আশিঘর মোর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন স্বপন। অভিযোগ, আচমকা ছুটে এসে রাম দা দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে নিরঞ্জন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

এদিকে ঘটনার পরেই আশিঘর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়েরের পর গ্রেফতার করা হয় নিরঞ্জনকে। তারপর প্রায় এক বছর ধরে চলছিল মামলা। অবশেষে সাজা ঘোষণা হল।

আদালতের রায়ের খুশি মৃতার বোন লক্ষ্মী দাস। তিনি বলন, আমার দাদাকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিল ও। দাদার ছোট মেয়ে ও বউ রয়েছে বাড়িতে। অবশেষে ফাঁসির সাজা হল। আমরা খুব খুশি। অন্যদিকে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দারস্থ হতে চলেছেন অভিযুক্তের পরিবার।

Previous articleToday’s market price আজকের বাজার দর
Next articleদোষীদের ফাঁসির দাবি! মমতার নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ TMCP-র