‘আফসোস লাগে!’ বাংলার ভাবমূর্তি তুলে ধরতে কোথায় টলিউড, প্রশ্ন কুণালের

কুণালের প্রশ্ন, " এই যে এবার বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, সারা দেশে/বিদেশে বাংলার ইমেজ খারাপ করার চক্রান্ত, এঁরা জানেন না?

যে বাংলার মানুষের বিনোদনের দায়িত্ব নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে টলিউড শিল্পজগৎ, সেই বাংলার সুনাম তুলে ধরতে দেখাই যায় না এই শিল্পীদের। এমনকি বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে বদনাম করে যখন বিরোধীরা ভিডিও প্রকাশ করছে ও ছড়িয়ে দিচ্ছে, তখনও কেউ সেই বদনাম ঘোঁচানোর দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসছেন না টলিউড থেকে। বাংলার চলচ্চিত্র জগতের এহেন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে এদের মধ্যে প্রভাবশালী শিল্পীদের নিয়ে ভাবার বার্তাও দলকে দেন তিনি।

হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে একাধিক বার বিজেপির প্রচারমূলক ছবি হয়েছে। অথচ বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ কোনওভাবেই রাজ্যের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে ছবি তৈরির কথা ভাবেননি অভিযোগ কুণালের। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে।” সেই সঙ্গে তাঁর আফশোষ, “টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না।”

বাংলার সুনাম নিয়ে প্রচার তো দূরের কথা, বাংলার বদনামেও প্রতিবাদী হতে দেখা যায় না এই শিল্পীদের। এপ্রসঙ্গে শুক্রবারই বিজেপি প্রকাশিত একটি ভাইরাল ছোট চলচ্চিত্রের উল্লেখ করেন তিনি। সেই ভিডিও-তে একটি ঘটনাকে ঘিরে বাংলাকে নিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার করার কোনও নিম্নগতি বাকি রাখেনি বিজেপি। তারপরেও চুপ বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ। সেখানেই কুণালের প্রশ্ন, ” এই যে এবার বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, সারা দেশে/বিদেশে বাংলার ইমেজ খারাপ করার চক্রান্ত, এঁরা জানেন না? অথচ এঁরা তার পাল্টা কিছু করবেন না, করতে চাইবেন না।”

তবে এর মধ্যেও টলিউডের কলাকুশলী ও কিছু আন্তরিক চলচ্চিত্র নির্মাতাকে এই তালিকার বাইরে রেখেছেন তৃণমূল নেতা। তাছাড়া বাকি শিল্পীরা তৃণমূলের মঞ্চ ব্যবহার করে কীভাবে নিজেদের প্রচার করে নেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে তাঁদের দেখা যায় না বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। ভবিষ্যতে এঁদের মধ্যে যাঁরা রীতিমত ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন, তাঁদের নিয়ে ভেবে দেখার বার্তাও দলকে দেন তিনি।