এখন ইলিশ উৎসব লজ্জা! পরেশকে ধুয়ে দিলেন কুণাল

প্রতিবছর ঘটা করে ইলিশ উৎসব করেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Paul)। যোগ দেন দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে সেলেবরা। থাকেন সাধারণ মানুষও। কিন্তু আর জি কর-কাণ্ডের পরে মন ভালো নেই মহানগরের। দৈনন্দিন জীবন চলছে। চলছে প্রয়োজনীয় গঠনমূলক, বৃত্তিমূলক কাজ। কিন্তু তাই বলে উৎসব! পয়লা সেপ্টেম্বর পরেশ পালের উদ্যোগে আয়োজিত ইলিশ উৎসবে সেই কারণেই যাননি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুধু তাই নয়, এই উৎসব এখন করার তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। পাল্টা তাঁকে কটাক্ষ করেন পরেশ। খোঁচা দিতে ছাড়েননি কুণালও। বলেন, এই সময় ইলিশ মাছের সঙ্গে আমার ছবি থাকলে লজ্জা বোঝ করব। এখন এই উৎসব রুচির পরিচয় নয়। সব মিলিয়ে ইলিশ উৎসবে স্বাদের থেকে খোঁচা বেশি কাঁটারই।আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ-খুনের পর থেকে বিচারের দাবিতে সরব শাসক-বিরোধী সব পক্ষের। তিলোত্তমাকে হারিয়ে মন ভাল নেই মহানগরের। দৈনন্দিন জীবন চলছে। এই পরিস্থিতিতে ঝালে-ঝোলে-অম্বলে ইলিশ উৎসব খুবই বেমানান। জলের রুপোলি শস্যের স্বাদ গ্রহণ করার মন নেই ভোজন রসিক বাঙালির। এই পরিস্থিতিতেই প্রতি বছরের মতো ইলিশ উৎসবের আয়োজন করেন বিধায়ক পরেশ পাল। আমন্ত্রণ জানানো হয় কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। ফ্লেক্স-ব্যানারে তাঁর ছবিও দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিবাদ করেন তৃণমূল। সাফ জানিয়ে দেন, যাওয়া তো দূরের কথা তাঁর নাম, ছবিও ব্যানার থেকে সরাতে বলেন কুণাল। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুণাল বলেন, পরেশ দা যথেষ্ট সম্মান দিয়েই আমাকে নিমন্ত্রণ জানান। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ইলিশ উৎসবে যাওয়ার মন নেই। তৃণমূল নেতার সংযোজন, উনি যদি রক্তদান শিবির করেন বা কোনও হস্তশিল্প মেলা যেখানে কর্ম সংস্থানের বিষয় জড়িত, নিশ্চয় পাশে থাকব। কিন্তু ইলিশ উৎসবে যেতে পারব না। এটা এই ধরেন উৎসবের জন্য একেবারেই সঠিক সময় নয়- মন্তব্য কুণালের। তবে, কুণালের না যাওয়ায় গোঁসা হয় পরেশ পালের। তিনি আবার উল্টে বলেন, কুণাল কত বড় নেতা! ও আসছে না বলে কি উৎসব হবে না! এই উত্তরে কুণাল স্পষ্ট জানান, আমি দলের কর্মী। আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন এটা করা উচিৎ নয়। মোক্ষম খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেতার মন্তব্য, আমি ছোট নেতা বলে ইলিশ উৎসবের খুঁটি পুজোতেও যায়নি। এই সময় ইলিশ মাছের সঙ্গে আমার ছবি দেওয়া মানে আমার লজ্জা। কিন্তু যদি রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য শিবির, হস্তশিল্প মেলার কর্মসংস্থান সংক্রান্ত অনুষ্ঠান হয় যাবো। কিন্তু ইলিশ উৎসবে আমি যাব না। তাতে যদি আমাকে নেতা বলা না হয় আমার আপত্তি নেই। আমি ছোট নেতা বলেই চার দিন আগে আমি পরেশ পালের জন্মদিন গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। কিন্তু ইলিশ উৎসবে যোগ দেব না।











Previous articleপাহাড়ের তিন পুরসভায় নির্বাচন দাবি, হাইকোর্টে মামলা
Next articleস্তন্যদানের সময় সদ্যজাতর গলা টিপে খুন করলেন মা!