আর জি কর-কাণ্ডের পরেই ধর্ষণ রুখতে আইন করে ৭দিনের মধ্যে এনকাউন্টারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার, যখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ পাশ হচ্ছে তখন ফের দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবিতে আওয়াজ তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে কেন তিনি দ্রুত বিচার চাইছেন তার ব্যাখ্যাও দেন অভিষেক।

এদিন, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) অভিষেক লেখেন,
“প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এটা বেদনাদায়ক। সময়সীমাবদ্ধ ধর্ষণ-বিরোধী আইনের দাবি আগের থেকে আরও অনেক বেশি উপযোগী৷ ধর্ষণ-বিরোধী আইনের ধারা আনতে নেতৃত্ব বাংলা দিচ্ছে। কেন্দ্রকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে পদক্ষেপ করতে হবে- অধ্যাদেশের মাধ্যমেই হোক বা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) সংশোধনীর মাধ্যমে আসন্ন সংসদের অধিবেশনে ন্যায়বিচার দ্রুত করতে হবে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য ৫০ দিনের মধ্যে বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করতে হবে৷” শেষে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে জানিয়েছেন, #BengalShowsTheWay।

Given the harrowing statistic of a RAPE EVERY 15 MINUTES, the demand for a COMPREHENSIVE TIME-BOUND ANTI-RAPE LAW is more pressing than ever. BENGAL is leading the charge with its ANTI-RAPE BILL. The Union must now take decisive action – whether by ordinance or BNSS amendment in…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 3, 2024
অতীতেও কঠোর ধর্ষণ–বিরোধী আইনের কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তের শুনানি এবং দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে গত ২২ অগাস্ট অভিষেক লেখেন, “এমন কঠোর ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনতে হবে, যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে এবং তাতে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।“ তাঁর আরও সংযোজন ছিল, দেশে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করার হার মাত্র ২৬ শতাংশ। ২৮ সেপ্টেম্বরে মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকেও অভিষেক জানান, ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইনের দাবিতে আন্দোলন তৃণমূল দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমি বলছি, দাবি এক, দফা এক— ধর্ষণ বিরোধী আইন। আগামী দিনে তৃণমূল দিল্লিতে যাবে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণ বিরোধী আইন আনে। রাতারাতি নোট বাতিল হতে পারে, লকডাউন করতে পারে, তা হলে ধর্ষণ-বিরোধী আইন আসে না কেন? যাঁরা এই নারকীয় বর্বর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সমাজে থাকার অধিকার নেই।”
