ডবল ইঞ্জিনের মহারাষ্ট্রে চূড়ান্ত অমানবিক ছবি! শববাহী গাড়ি নেই, সন্তানদের দেহ কাঁধে হাঁটলেন দম্পতি

ফের ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যে চূড়ান্ত অমানবিক ছবি! শববাহী গাড়ি না পেয়ে মৃত শিশুপুত্রদের দেহ কাঁধে নিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি ফিরলেন হতদরিদ্র দম্পতি। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। গদচিরোলির ঘটনা স্মৃতি ফিরল ওড়িশার দানা মাঝি, উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর ও প্রয়াগরাজের।

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) গদচিরোলিতে ১০ বছরের কমবয়সী দুই ভাই জ্বরে পড়ে। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিল তারা। নেই বিনামূল্যএ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। ফলে অভাবের সংসারে সময়মতো শিশুপুত্র দুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি দম্পতি। পরে কোনও ক্রমে হাসপাতালে নিয়ে গেলেো শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দুই বালক। কিন্তু পুত্রদের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে সদ্য সন্তান হারানো মা-বাবা পেলেন না একটি শববাহী গাড়ি। উপায় না দেখে অগত্যা অসহায় আহেরি তালুকের দম্পতি ছেলেদের মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। à§§à§« কিলোমিটার রাস্তা এভাবেই যান তাঁরা।ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও (ভিডিও-র সত্যতা জারি করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’)। মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াডেত্তিওয়ার এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান ”দুই নাবালকের মৃতদেহ তাদের গ্রাম, পট্টিগাঁওতে স্থানান্তর করার জন্য এখানে কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা শববাহী যান ছিল না। বাবা-মা বৃষ্টিতে ভেজা পথ দিয়ে à§§à§« কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হন। গদচিরোলির স্বাস্থ্য পরিষেবার এক ভয়াবহ বাস্তব আজ ফের সামনে এসেছে।”

২০১৬-র ওড়িশার এক সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কালাহান্ডির বাসিন্দা দানা মাঝির স্ত্রীর। চিকিৎসার খরচটুকু জোগাড় করতে পারলেও স্ত্রীর দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি হতদরিদ্র দানা। শত অনুরোধে লাভ না হওয়ায় অগত্যা স্ত্রীর দেহ কাঁধে চাপিয়েই ৬৭ কিলোমিটার দূরে নিজের গ্রামে ফেরেন তিনি। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। প্রয়াগরাজে পুত্রের মৃত্যু পর তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি বলে অভিযোগ। শেষে কাঁধে করেই সন্তানের দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরেন হতভাগ্য বাবা।

১ সেপ্টেম্বর বিদর্ভ অঞ্চলে অমরাবতীর মেলঘাট আদিবাসী অঞ্চলের দহেন্দ্রি গ্রামের কবিতা একজন গর্ভবতী আদিবাসী মহিলা তাঁর বাড়িতে একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেন এবং তারপরে স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁর মৃত্যু হয়।