ঘাটাল হাসপাতালে ‘উদ্বোধক’এর নাম বদল! দেবের জবাব, পালটা ধুয়ে দিলেন কুণাল

ছবি তুলে ধরে তিনি স্পষ্ট বলেন, "দিদি যে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন, সেটা ছবিতেই স্পষ্ট। উদ্বোধন দুবার হয় না। দুটো যন্ত্র এলেও হয় না

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ডায়ালিসিস ইউনিটের দ্বিতীয়বার উদ্বোধন করে বিতর্কে অভিনেতা সাংসদ দেব। ছয়মাসে উদ্বোধক হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই বদলে দিলেন ঘাটালের সাংসদ। বারবার দল বিরোধী অবস্থান নেওয়া দেবকে দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করলে তিনি আবার চেষ্টা করেন সাফাই দেওয়ার। তবে আদতে কোনও উদ্বোধনই যে দুবার হয় না, পাল্টা দেবকে ধুয়ে দিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে সম্প্রতি যেভাবে বিরোধীদের তাতে তাল মিলিয়ে আন্দোলন মঞ্চে বারবার দেখা গিয়েছে দেবকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও ছাড়েননি কুণাল।

ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট মার্চ মাসে উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেই ইউনিটের নতুন যন্ত্রপাতি আসায় ফের সেই ইউনিট ‘উদ্বোধন’ করেন স্থানীয় সাংসদ দেব। এমনকি যে ইউনিট উদ্বোধনে ছয়মাস আগে উদ্বোধক হিসাবে নাম ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। ছয়মাসের মধ্যে সেখানে উদ্বোধকের নাম বদলে হয়ে গেল অভিনেতা সাংসদের নাম। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনায় সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কী সুপারস্টার দেব মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বেশি উচ্চতায় উঠেছেন? অন্যদিকে পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়ালিসিস ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ লেখেন, “উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম পাল্টে সাংসদ। সুপারস্টার একেই বলে। এলাকার মানুষ তো অবাক!” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট হতেই নিজের দিক থেকে সাফাই দিতে নামেন দেব। তিনি পাল্টা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন, “আমি দিদিকে অনুরোধ করেছিলাম ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস এবং সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য, সেটা দিদি মার্চ মাসে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই ডায়ালিসিস পরিষেবার ব্যাপারে জানতে পারে।”

তবে আদতে তা যে শুধুই সাফাই ছিল, তা পাল্টা পোস্টে স্পষ্ট করে দেন কুণাল। ছবি তুলে ধরে তিনি স্পষ্ট বলেন, “দিদি যে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন, সেটা ছবিতেই স্পষ্ট। উদ্বোধন দুবার হয় না। দুটো যন্ত্র এলেও হয় না।” সেই সঙ্গে কুণাল মনে করিয়ে দেন, কীভাবে সম্প্রতি আর জি করের ঘটনায় যে রাজ্য সরকার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে, সেই সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন শাসক দলের সাংসদ। সেই সঙ্গে যেভাবে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন দেব, তাও স্মরণ করিয়ে দেন কুণাল। তিনি বলেন, “যারা দল, সরকারকে গালমন্দ করছে, পেশা ও সৌজন্যের নামে তাদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করি না।”

Previous articleহাতিয়ারায় সন্দীপের আরও একটি বাড়ির হদিশ!
Next articleফের বিজেপি শাসিত বদলাপুরে জন্মদিনের পার্টিতে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ!