সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। দিনের পর দিন চলছে কর্মবিরতি। একমাস হতে চলল এবার কাজে ফিরতেই হবে, সংবাদপত্র নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)নিজেদের অবস্থানে অনড়। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁরা কর্মবিরতি না প্রত্যাহার করলে রাজ্যে (West Bengal) যেকোনও পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু আন্দোলনরত চিকিৎসকরা প্রধান বিচারপতির কথায় আমল না দিয়ে উল্টে স্বাস্থ্যভবনকে ডেডলাইন দিতে ব্যস্ত। এর আগে একবার নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যভবন (Swasthya Bhawan) অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। বেলা ১২টায় করুণাময়ী থেকে শুরু হবে ডাক্তারদের মিছিল।

সুপ্রিম নির্দেশের (Supreme পরেই সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন যে আগেরবার স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে ডেপুটেশন দিয়ে যা যা বলেছিলেন চিকিৎসকরা সেই সব কটা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও এক মাস ধরে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। অত্যন্ত নমনীয়ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের অনুরোধ করেছে কাজে ফিরতে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারের অনুরোধ এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হালকা ভাবে নিচ্ছেন, এবং শুধুমাত্র নিজেদের দাবিকেই প্রাধান্য দিয়ে চলেছেন। আদালতে রাজ্যের তরফে রিপোর্ট পেশ করে বলা হয়েছে যে ডাক্তারদের কর্ম বিরতির যিনি এখনো পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষের উপর প্রভাব পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। সওয়াল জবাবের পর কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সময় বেঁধে দেন প্রধান বিচারপতি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে দেয়, সব সুবিধা সত্ত্বেও লাগাতার কর্মবিরতি চললে ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এরপর নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং শেষে রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা আজকের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের কথা ঘোষণা করেন। এবার স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলেরও অপসারণ চেয়েছেন তাঁরা। অর্থাৎ ডাক্তাররা নিজেদের দাবি থেকে এতটুকু সরছেন না, উল্টে পরিষেবা না দিয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরি করাই যেন এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

