কার্ফু সত্ত্বেও প্রতিরোধ মনিপুরে, রাজ্যপালকে সময় বেধে দিল ছাত্ররা

ইম্ফল (Imphal) শহরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ মহিলা পরিচালিত বাজার ইমা বাজারে (Ima market) ঢুকে নিজেদের বন্দি করে নেয় ছাত্ররা। তাঁদের দাবি মেটাতে রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা

সোমবার রাতে ইম্ফল শহরে মহিলাদের মশাল মিছিলের পরই তিন জেলায় কার্ফু ঘোষণা করে মনিপুর (Manipur) প্রশাসন। সকালে স্কুল পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয় রাজভবন চত্বর। ফের রাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেয় মহিলারা। এরপরই ইম্ফল পূর্ব (Imphal East), ইম্ফল পশ্চিম (Imphal West) ও থৌবাল (Thoubal) জেলায় কার্ফু ঘোষণা করা হয়। বেলা বাড়তে আরও দুই জেলা বিষ্ণুপুর (Bishnupur) ও কাকচিং (Kakching)-এ নতুন করে কার্ফু জারি হয়। তা সত্ত্বেও পথে নামে স্কুল ছাত্ররা। নিজেদের দাবি আদায়ে রাজ্য়পাল লক্ষ্ণণ প্রসাদ আচার্যকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় তারা।

সোমবার সকাল থেকে যে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছিল মনিপুরের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা, মঙ্গলবারও সেই দাবি ঘিরে বিক্ষোব অব্যাহত। সোমবারের মিছিল থেকে রাজভবন (Rajbhavan) ও মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের (Biren Singh) বাড়ির লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রদের বিরুদ্ধে। যদিও ছাত্রদের অভিযোগ পুলিশই তাঁদের উপর পাথর, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তবে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরে রাতে মহিলারা মশাল নিয়ে মিছিলে হাঁটে। তাঁদের দাবি, প্রথমত কেন্দ্র সরকারকে মনিপুর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অশান্তি প্রতিরোধে রাজ্যকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তৃতীয়ত, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলতি অশান্তি বন্ধ করতে রাজ্যকে সক্রিয়া ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

আন্দোলনের জেরে আগে থেকে শিথিল হওয়া ইম্ফলের কার্ফু (curfew) ফের লাগু করা হয় মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে। স্বাস্থ্য, পুরসভা বা প্রশাসনিক পরিষেবা থেকে পেট্রোল পাম্প, আদালত, সংবাদ মাধ্যমকে ছাড় দেওয়া হয় কার্ফু থেকে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইম্ফল (Imphal) শহরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্ররা। ছেঁড়া হয় নরেন্দ্র মোদির ছবি। পথে নামে মেয়েরাও।

এরই মধ্যে ইম্ফল (Imphal) শহরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ মহিলা পরিচালিত বাজার ইমা বাজারে (Ima market) ঢুকে নিজেদের বন্দি করে নেয় ছাত্ররা। তাঁদের দাবি মেটাতে রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে চলতি অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যকেই ভূমিকা নিতে হবে, দাবি জানান তাঁরা। বেশ কিছু পড়ুয়া পুলিশের পাথর ও কাঁদানে গ্যাসে আহত হয়। তাঁদের ভর্তি করা হয় ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ। মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদির নীরবতার সমালোচনা করে তৃণমূল। সাংসদ সুস্মিতা দেব দাবি করেন, দ্রুত মনিপুর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। আর কতদিন মনিপুরকে দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে না মেনে অবহেলা করবেন নরেন্দ্র মোদি, প্রশ্ন সুস্মিতার।

Previous articleজুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি: মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া মুখ খুলবেন না অন্য মন্ত্রীরা! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়
Next articleযৌন নির্যাতনের অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তিতে তৎপর রাজ্য, বিশেষ পকসো আদালত তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার