বারবার সরকারের তরফ থেকে আলোচনার প্রস্তাব ফেরাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। দিচ্ছেন শর্ত। বুধবার, সন্ধেয় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তাঁর কথায় সরকারের তরফে খোলা মনে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শর্ত চাপাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। শর্ত দিয়ে খোলা মনে আলোচনা হয় না-মন্তব্য চন্দ্রিমার। মুখ্যসচিবের মনোজ পন্থের (Manoj Panth) আবেদন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজে ফিরুন জুনিয়র ডাক্তার। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের (Rajiv Kumar) আর্জি, ”জুনিয়র ভাই বোনেদের বলবো ওদের সব রকম সেফটি ও সিকিউরিটির ব্যবস্থা আমরা করবই।” এই আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক মদতের অভিযোগ তোলেন চন্দ্রিমা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জুনিয়র ডাক্তাদের দাবি, শর্ত মানলে তাঁরা বৈঠকে বসবেন।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বললেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওঁরা এখনও আসেনি। আলোচনার জন্য ওঁদের আসা উচিত ছিল।” তাঁর কথায়, “আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করেছিলাম, কাজে ফিরতে। মানুষকে পরিষেবা দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব। আমি বলেছিলাম, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানার জন্য।” মুখ্যসচিবের অভিযোগ, ”আজকে ওদের যে মেইল পেয়েছি তাতে খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ ছিলো না। কোনো শর্ত রেখে আলোচনা হতে পারে না। যদি মনে করা হয় যে শর্ত মেনেই আলোচনা হবে, সেটা বোধহয় ঠিক নয়। আমরা এখনও মনে করি ওনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুক। আজকের মেইলের যে রেসপন্স আমরা পেয়েছি সেটা আমাদের আহত করেছে। এটা উচিত ছিল না।”
রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন, ”একটাই কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বলব আমরা জুনিয়র ভাই-বোনেদের বলবো ওদের সব রকম সেফটি ও সিকিউরিটির ব্যবস্থা আমরা করবই।
ওনারা যেন ভুল পথে না গিয়ে যদি সত্যি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে খোলামেলা পরিবেশে আগাম শর্ত আরোপ না করে আলোচনায় আসুন।”
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাত বলেন, ”যে মুহূর্তে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, সেই মুহূর্তে আমরা আলোচনায় যোগ দেব।” রাজনীতির দাবি উড়িয়ে তিনি বলেন, ”আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ ভাবে অরাজনৈতিক।”