ফের রাজ্যের তরফে আলোচনার প্রস্তাব জুনিয়র ডাক্তারদের: থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী, উল্লেখ চিঠিতে

এই নিয়ে তৃতীয়বার রাজ্যের তরফে আলোচনার প্রস্তাব গেল আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের (Manoj Panth) তরফ থেকে ই-মেইল পাঠিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হবে না। তবে, স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখতে তা রেকর্ড করা হবে। একই সঙ্গে নবান্ন জানানো হয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকে যেতে পারেন। এই চিঠির পরেই ফের বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।সরকারের তরফ থেকে বারবার সদর্থক পদক্ষেপ করা হলেও বিভিন্ন শর্ত দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব ফেরাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবারের পরে বুধবারেও বৈঠক করতে চেয়ে নবান্ন থেকে ইমেইল যায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত ডাক্তারদের কাছে। কিন্তু সেই প্রস্তাবও ৪ শর্ত দিয়ে ফেরানা জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাঁদের শর্ত ছিল, অন্তত ৩০ জনের প্রতিনিধিদল থাকবে বৈঠকে। নবান্নে যে বৈঠক হবে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তার লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। আন্দোলনকারীরা যে ৫ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আগে, সেই দাবিগুলির উপরেই বৈঠকে আলোচনা হতে হবে। নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবে। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, রাজ্যে ২৬টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সব কলেজের একজন করে প্রতিনিধি বৈঠকে রাখতে চান তাঁরা। এর পাশাপাশি তাঁদের ৫টি দাবি নিয়েই শুধু আলোচনা চান জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবিগুলি হল, চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার দ্রুত বিচার। দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি। সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করে তদন্ত। তথ্য লোপাটের জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যসচিব, ডিএমই, হেল্থ সার্ভিসেসের ডিরেক্টর, কলকাতার পুলিশ কমিশনর বিনীত গোয়েল, ডিসি নর্থ, ডিসি সেন্ট্রাল ইস্তফা। নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, সরকারের তরফে খোলা মনে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শর্ত চাপাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। শর্ত দিয়ে খোলা মনে আলোচনা হয় না। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, “ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে সব মানতে হবে? আমি তো ওদের জন্য সব সময় দিতে রাজি। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার তো সবাইকে মানতে হবে। ওদেরকে আরও একবার বোঝাও।”এরপরে ফের এদিন দুপুরে মুখ্যসচিবের তরফে মেইল যায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে। তবে, তাঁদের সব শর্ত মানা হয়নি। নবান্নের তরফে বলা হয়, সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকে যেতে পারেন। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে না। স্বচ্ছতা রাখতে গোটা বৈঠক রেকর্ড করে রাখা হবে।

প্রথমেই জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রথম ২টি চিঠিতে কোথাও বলা ছিল না, মুখ্যমন্ত্রীই আলোচনায় বসবেন। জুনিয়র ডাক্তাররা সেই কারণ দেখিয়ে আবোদনে সাড়া দেননি। মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অবশ্য স্পষ্ট করে বলেন, যে মুখ্যমন্ত্রীই আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। তবে, তৃতীয় চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বৈঠকে। এই চিঠি পাওয়ার পরেই ফের জি বি মিটিংয়ে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা কী পদক্ষেপ করেন সেটাই দেখার।









Previous articleক্যামেরাম্যানকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ মার্টিনেজের বিরুদ্ধে, শাস্তির দাবিতে ফিফার কাছে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা
Next articleআরজি কর হাসপাতালের ধর্নামঞ্চে বোমাতঙ্ক! সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ