Saturday, August 23, 2025

ঝাড়গ্রামে পুলিশের মানবিক মুখ, প্রাণ ফিরে পেলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত জুনিয়র চিকিৎসক

Date:

আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আন্দোলন চলছে।ঠিক এর উলোটপুরাণ দেখা গেল ঝাড়গ্রামে। পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক জুনিয়র চিকিৎসকের। পুলিশের তৎপরতায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক সৃষ্টি এক্কা (৩০) এবং তাঁর পরিবার বেঁচে গেলেন এ যাত্রায়। শুধু তাই নয়, ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিকিৎসা। লোক কম থাকায় স্যালাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীকে।

জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের পিডিয়াট্রিক্স বিভাগের ছাত্রী ডাঃ সৃষ্টি এক্কা। তার বাবা মা, বোন সহ সকলে বুধবার রাতে ছত্তিশগড় যাচ্ছিলেন। সেই সময় ঝাড়গ্রামের ফাঁসিতলা এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর হঠাৎ করেই একটি মালবাহি ট্রাক ওই গাড়িটির পিছনে ধাক্কা মারে। সামনে থাকা আারেকটি গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে চিকিৎসকের গাড়িটি।দুমড়ে যাওয়া গাড়িতেই আটকে পড়েন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ওই ছাত্রী, তার বোন আশা এক্কা, মা কমলাবতী এক্কা, এবং তার বাবা।

দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভেতর থেকে শত চেষ্টা করেও বার করা যায়নি তাদের। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঝাড়গ্রাম থানার এসডিপিও সামিম বিশ্বাস, আইসি বিপ্লব কর্মকার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পাশপাশি আগেই ঘটনাস্থলে ছিলেন পার্শ্ববর্তী মানিকপাড়ার বিট অফিসার। পুলিশ দ্রুতদ নিজেদের উদ্যোগে গ্যাসকাটার নিয়ে এসে গাড়ি কেটে তাদের বের করার কাজ শুরু করে। তাদের উদ্ধারের পরে পুলিশ রওনা দেয় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের দিকে।ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য পড়ে থাকতে হয়নি “এক্কা” পরিবারকে। আহতদের যে কোনওরকম সহায়তার জন্য ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশের একটি টিম। যারা স্যালাইন ধরা থেকে ট্রলি ঠলে বেডে নিয়ে যাওয়া, পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া সবটাই তদারকি করেন।

আর একটি গাড়ির আহতদেরও উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। কোমরের নিচের অংশে গুরুতর জখম হন সৃষ্টি এক্কা। তার মা ও বোনের অবস্থাও সঙ্কটজনক। তার পরিবার তাদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করতে চাইলে, গভীর রাতে সেই পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের পরিবারকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। ঝাড়গ্রাম এমএসভিপি অনুরুপ পাখিরা বলেন, পুলিশ যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে তাতে চিকিৎসা করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে।সঙ্গে সঙ্গে  চিকিৎসা পাওয়ায় আশঙ্কাজনক হলেও তারা এখন অনেকটাই বিপদমুক্ত।











Related articles

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...
Exit mobile version