ওপার বাংলার অস্থির পরিস্থিতির পর বাংলাদেশের দায়িত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার।ইউনুস-কে সামনে রেখে নতুন সরকার ক্ষমতায় বসতেই প্রথমে জাতীয় পতাকা, তারপর জাতীয় সংগীত বদলের দাবি উঠেছিল। এবার ফের নতুন দাবি, যা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ হিসাবে মুজিবুর রহমান নয়, ঘোষণা করা হোক পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ আলি জিন্নার নাম।দাবি উঠেছে শেখ মুজিবুর রহমান নন, বাংলাদেশের প্রকৃত জাতির পিতা হলেন মহম্মদ আলি জিন্না। আইন করে এটা প্রতিষ্ঠিত করা হোক।

পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ৭১-এ মৃত্যু বরণ করেছিল বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নর-নারী। সাধারণ মানুষের ওপর নেমে এসেছিল পাক বাহিনীর অমানবিক নির্যাতন। সেই পাকিস্তান প্রেমেই মশগুল বাংলাদেশের একটি অংশ। গত বুধবার ছিল জিন্নার ৭৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক শোকসভার আয়োজন হয়েছিল ঢাকা প্রেস ক্লাবে। সেখানে বক্তাদের বক্তব্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা পেয়েছিল তা আসল স্বাধীনতা নয়, তা পাকিস্তানকে ভাঙার ষড়যন্ত্র। তাই শেখ মুজিবর রহমান নন, রাষ্ট্রপিতা হিসেবে ঘোষণা করা হোক জিন্নাকে। যুক্তি হিসেবে বক্তাদের দাবি, জিন্না না থাকলে পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য হয়ে থেকে যেত বাংলাদেশ।

প্রসহ্গত, ৭১-এ বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার পর সেভাবে জিন্নার জন্ম বা মৃত্যুদিন পালিত হয়নি কখনও। বিএনপি ও জামাতের ক্ষমতাকালীন সময়ে ছোট অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত বুধবার সাড়ম্বরে জিন্নার মৃত্যুবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠান চিন্তা ফেলেছে বাংলাদেশবাসীকে।
