জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে। মঙ্গলবার, বিকেলে চারটের পর নতুন নগর পালকে দায়িত্বভার দেবেন বিনীত। সোমবার সন্ধ্যে থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের পরে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। একই সঙ্গে তিনি জানান, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে সরানো হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বদল হবে। ১৪ অগাস্ট ভাঙচুরের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থকে সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctor) । সেই দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior doctor) কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার আবেদন জানান মমতা।
আন্দোলনকারীদের দ্বিতীয় দাবি ছিল- স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকার তা তিনজনকে সরাতে হবে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন সবাইকে সরিয়ে দিলে কাজ করবে কে? সেই কারণেই তিনি ডিএমই এবং ডিজিএসকে সরানো হবে বলে জানান। “যদিও তাঁরা বেশিদিন কাজ করছেন না। তাঁদের কাউকে অসম্মান করিনি। কিন্তু যেহেতু চিকিৎসকরা তাঁদের চাইছেন না, তাই তাঁদের সরানো হচ্ছে।”
এরপরই বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে মঙ্গলবার আগামী বিকেল চারটের পরে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদে বদল করা হবে। আরও কিছু পদে রদবদল করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “পুলিশ আমাদের শক্তি। তারা সারাক্ষণ কাজ করে। তাদের দিকটা আমাদের দেখা উচিত। পুলিশ কমিশনার নিজেই ওঁদের কথা মেনে নিয়ে সরে যেতে চেয়েছেন। বিনীত যেখানে চেয়েছে সেখানেই দিয়েছি।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ওঁদের চারটে দাবির মধ্যে তিনটিই মেনে নেওয়া হয়েছে। ১৪ অগাস্ট আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ডিসি নর্থকেও সরিয়ে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটাও মঙ্গলবার ঠিক হবে।
হাসপাতালের সুরক্ষা নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরীক্ষাটা উন্নয়নের ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি মিটিং পজেটিভ হয়েছে।”
এরপরে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই কারণে মানুষের স্বার্থে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন জুনিয়র ডাক্তাররা। “এবার তোমরা কাজে যোগদান করো মানুষের স্বার্থে। হাসপাতালে ফিরুন আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।”