দরকার আরও সন্তান প্রসব, যৌনমিলনের অদ্ভুত নিদান পুতিনের!

শেস্টোপলভের বক্তব্য, “বিরতিকে কাজে লাগান। সময় অপচয় করবেন না। তখনই পরিবার পরিকল্পনা করে ফেলে সঙ্গমে লিপ্ত হন।”

কাজের ফাঁকে হোক কিংবা কফি খাওয়ার মাঝে, যখন খুশি লিপ্ত হন যৌনক্রিয়ায়। শুনে চোখ কপালে উঠলেও জন্মহার বাড়াতে এমনই দাবি উঠল রাশিয়ায় (Russia)। একদিকে করোনা ভাইরাসের কামড়। অন্য দিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ (Ukraine war)। এই দুইয়ের জেরে প্রভাব পড়ছে রাশিয়ার জনসংখ্যায়। এই পরিস্থিতিতে দেশের জনসংখ্যার ঘাটতি মেটাতে অভিনব ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।

সম্প্রতি এক রিপোর্টের তথ্য অনুসারে,আড়াই বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মৃত্যুমিছিল প্রভাব ফেলেছে রাশিয়ার জনসংখ্যা। আর রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতে লক্ষ লক্ষ যুবক- যুবতী দেশ ছেড়েছে। বর্তমানে রাশিয়ায় একজন মহিলা পিছু জন্মের হার (birth rate) ১.৫। জনসংখ্যায় স্থিতিশীলতা আনতে একজন মহিলা পিছু সেই হার ২.১ হওয়া দরকার বলেই সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অভিমত।। আর সেই হিসাবই চিন্তা বাড়িয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্র প্রধানের। তাই সমাধানের পথ হিসাবে দেশের জনগণকে তাঁর নিদান, “যখন খুশি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলুন। কাজের ফাঁকে, কফি-লাঞ্চ ব্রেকেও (lunch break) সঙ্গমে (sex) লিপ্ত হন।”

অন্যদিকে দেশের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইয়েভজেনি শেস্তোপলভ জানিয়েছেন, রাশিয়ানরা অনেকটা সময় কর্মক্ষেত্রে কাটান। তবে রতিক্রিয়ায় শামিল হতে না পারার কারণ কখনও কাজের অতিরিক্ত চাপ হতে পারে না। তাহলে উপায়? শেস্টোপলভের বক্তব্য, “বিরতিকে কাজে লাগান। সময় অপচয় করবেন না। তখনই পরিবার পরিকল্পনা করে ফেলে সঙ্গমে লিপ্ত হন।”

তবে শুধু নির্দেশিকা নয়, জনসংখ্যা বাড়াতে মহিলাদের মা হওয়ায় উৎসাহ দিতে একাধিক আইনও আনতে চলেছে পুতিন প্রশাসন। প্রথমত, ১৮ থেকে ৪০ বছরের মহিলাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা সংক্রান্ত সব পরীক্ষা বিনামূল্যে করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, বেসরকারি সংস্থাগুলি মহিলা কর্মীদের সন্তান ধারণে উৎসাহিত করবে। তৃতীয়ত, ২৪ বছরের কম বয়স্ক ছাত্রীরা মা হলে আর্থিক সাহায্য় পাবেন। চতুর্থত, গোটা দেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে ও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কর্মীরা সন্তান পালনের কাজ করবেন। পঞ্চমত, বিবাহ বিচ্ছেদের খরচ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

Previous articleধসে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিকিম এবং শিলিগুড়ির মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
Next articleবল হাতে দাপট সচিন পুত্রের, একাই নিলেন ৯ উইকেট