রাজ্যের প্রায় দশটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ডিভিসি রেকর্ড জল ছাড়ায় বিপর্যস্ত হাওড়া থেকে পুরুলিয়ার জনজীবন। শনিবার থেকেই নবান্নে তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযত কাজ শুরু করা হয়েছে। এবার সেই পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বুধবারই তিনি রওনা দিলেন হুগলির বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে।

একদিকে টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি। ভরা কোটালে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলি ফুলে জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের বিরাট অংশ। ডিভিসি থেকে ছাড়া হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ জল। তার উপর ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির পর সেখানকার জলাধারগুলি থেকেও ছাড়া হয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল। প্রতিবেশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করলেও ঝাড়খণ্ড মাইথন, পাঞ্চেতের মতো বড় জলাধারগুলি থেকে ক্রমশ জল ছাড়ার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। ফলে বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে প্রধান সচিব ও সচিবদের ১০ জেলায় দায়িত্ব দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনকে সাধারণ মানুষের উদ্ধার ও নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হুগলি গেলেন বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে। পুরশুড়া এলাকায় প্লাবিত চাষের জমি থেকে বসতি এলাকা। হুগলির নিচু এলাকা হিসাবে পরিচিত পুরশুড়া তো বটেই, বৈদ্যবাটি, চুঁচুড়া পুরসভা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পুরশুড়ায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শ্রীরামপুর এলাকায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় বাসিন্দারা। ওই এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
