প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু আন্দোলনের ৪০ দিনের মাথায় স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করে আন্দোলনকারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, রাজ্য দাবি মেনেছে। এখন কর্মবিরতি তুলে সরকারি কাজে সহযোগিতা করুন।

Since day one, I have supported the doctors in their concerns regarding safety and security, and I have always maintained that most of their concerns, barring a few, are valid, sensible and justified. As per the SC’s directions and the GoWB’s submission before the SC yesterday,…

— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 18, 2024
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন,
“প্রথমদিন থেকেই আমি নিরাপত্তার বিষয়ে ডাক্তারদের তাদের উদ্বেগের বিষয়ে সমর্থন করেছি। কয়েকটি বিষয় ছাড়া তাঁদের উদ্বেগের বেশিরভাগই বৈধ ও ন্যায্য। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ নিরাপত্তার উন্নতির জন্য বেশিরভাগ ব্যবস্থাই চলছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাজ্য সরকার দাবি করেছে যে ১৪ দিনে সব কাজ হয়ে যাবে।“অভিষেক লেখেন, “সরকার স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতা পুলিশের কিছু উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বদলির জন্য তাঁদের দাবিকে সম্মান করেছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যা বলেছেন, সেটা করেছেন।“

এর পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অভিষেকে লেখেন, “সদিচ্ছার দেখিয়ে ডাক্তারদের এখন কর্মবিরতি তোলা করার কথা বিবেচনা করা উচিত এবং জনগণের সেবা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত। এই পরিবর্তনগুলি অবিলম্বে কার্যকর করতে টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগগুলিকে ত্বরান্বিত করা উচিত।“

তিলোত্তমার ধর্ষণ-খুনের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রথম থেকেই সরব অভিষেক। এদিনও তিনি লেখেন, “সবশেষে, সিবিআইকে অতি দ্রুত শাস্তি দিতে হবে, যাতে কোনও অপরাধী ছাড় না পায়। সিবিআই-এর রেকর্ড বলে, গত ১০ বছরে, তারা একটিও তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি।”
সব শেষে তৃণমূল (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ”JUSTICE DELAYED IS JUSTICE DENIED
#JusticeForRGKar”
