সরকারি হাসপাতাল-মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি মুখ্যসচিব, বিশেষ দায়িত্ব সুরজিৎ

রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের (Hospital And Medical College) নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নের তরফ থেকে ওই নির্দেশিকা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। পাশাপাশি সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অডিটের জন্য সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) বৈঠকের পরে তাঁদের দাবি মতো কলকাতার পুলিশ কমিশনর বদলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। দাবি মেনে স্বাস্থ্য দফতরের দুই অধিকর্তাকেও সরানো হয়েছে। কিন্তু তার পরও নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এই পরিস্থিতিতে বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে ফের বৈঠকে করেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের সব হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা-সুরক্ষার দাবি জানান তাঁরা।এরপরেই এদিন হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা-সুরক্ষায় কী কী করতে হবে তার তালিকা স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠালেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষায় ১০টি পয়েন্ট উল্লেখ করে স্বাস্থ্য দফতরকে দ্রুত রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা-সুরক্ষা ও পরিকাঠামোগত সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে বিশেষ দায়িত্ব দিচ্ছে রাজ্য।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
• প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচালয়, বিশ্রাম কক্ষ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও দ্রুত গড়ে তুলতে হবে।
• নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে হবে।
• প্রতিটি হাসপাতালে অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ কমিটি গড়তে হবে। ওই কমিটি অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে।
• প্রতিটি হাসপাতালে বিশেষ অ্যালার্ম সিস্টেম চালু করতে হবে। যাতে কেউ কোনও বিপদে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য পেতে পারেন।
• কোথায় কতগুলি বেড রয়েছে, কতগুলি প্রয়োজন তার বিস্তারিত তালিকা তৈরি করে দ্রুত রূপায়ণ করতে হবে।
• চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের শূন্য পদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত তা পূরণ করতে হবে।

জুনিয়র চিকিৎসকরা যে দাবিগুলি জানাচ্ছিলেন নবান্নের নির্দেশিকায় তার অধিকাংশই দ্রুত পূরণের কথা বলা হয়েছে। সরকারি এই নির্দেশিকার পরে আন্দোলনকারীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন কি না সেটাই দেখার।









Previous articleজনপ্রিয়তায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্প
Next articleভিড়ভাট্টা এড়িয়ে পুজো দেখুন, বনেদি বাড়ি থেকে সর্বজনীন মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখাবে পর্যটন দফতর