বন্যার জলে বিধ্বস্ত বাংলার একাধিক জেলার মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে সাংসদ বিধায়কদের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, ত্রাণ ও বাসস্থানের দায়িত্ব নিয়ে ‘মাঠে নামা’র নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যে কোমর সমান জল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার পাঁশকুড়াতেও (Panskura)। সেই সব এলাকা এবার পরিদর্শনে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ ও তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এদিন কুণাল বলেন, “এলাকার যে সমস্যাগুলো যেমন খাল সংস্কার, যা বামফ্রন্টের (Left Front) আমলে হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এসেছেন তিনি যার (নাম না করে শুভেন্দুকে খোঁচা) চোখ দিয়ে দেখেছেন তিনি কোনও কাজ করেননি। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় মানুষের কিছু সমস্যা রয়েছে তার জন্য আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। তেমন হলে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। এই পরিস্থতিতে তমলুকের সাংসদ কোথায়? ভোটে শুধু জিতলে হবে মানুষকে সাময়িক বিভ্রান্ত করে দিয়ে? বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মন্ত্রী-আমলা-সাংসদ-নেতা -কর্মী সকলে কাজ করছেন। দলের জনপ্রতিনিধিরাও কাজ করছেন।”
বন্যা পরিস্থিতির পরে কার্যত প্রকাশ্যে উঠে এসেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পরিকল্পনার ব্যর্থতা। তিনি এই এলাকার দায়িত্ব নিয়েও যে কীভাবে ব্যর্থ তা তুলে ধরতে গিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু দীর্ঘদিনে তো এই এলাকায় ছিলেন। কেন তিনি এসমস্ত কাজ করে যাননি? সেই কারণে এই জল সমস্যা। সেই কাজগুলো আমাদের করতে হবে। সাধারণ মানুষকে ভোগানোর জন্য কেন্দ্র এই কাজ করেছে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জলে দক্ষিণবঙ্গ ডোবে আর ভুটানের (Bhutan) জলে উত্তর ডোবে। জলস্তর নিয়ন্ত্রণে না থাকার জন্য জাতীয় সড়কে গাড়ি বন্ধ করা হয়েছিল। বন্যা রোধের যে প্রকল্পগুলো তার জন্য অসম-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি টাকা পেতে পারে কিন্তু বাংলা পায় না। ”