গোটা দক্ষিণ বঙ্গ বানভাসি। ত্রাণ (relief) আর উদ্ধারকাজে দিন রাত এক করে পরিশ্রম করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মী থেকে আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে জেলায় জেলায় ঘুরে ত্রাণ বিলি করেছেন। সেখানে সরকারি ত্রাণ চুরি করছেন বিজেপি কর্মীরা। আর সেই অভিযোগ করছেন খোদ বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। হুগলির (Hooghly) বন্যাদুর্গতদের ত্রিপল থেকে খাবার সব চুরির অভিযোগ উঠল খানাকুলের (Khanakul) এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। থানাতে অভিযোগও দায়ের করেছেন সেই বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান।

প্রতি বছর ডিভিসির (DVC) ছাড়া জলে বানভাসি হয় হুগলির খানাকুল এলাকা। এবছর সেখানে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ধান্যঘড়ি পঞ্চায়েতে (Dhannoghori gram panchayat) প্রায় সব বাড়িই জলের তলায়। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের মানুষের জন্যও প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ সরবরাহ হচ্ছে ব্লক অফিসের মাধ্যমে। পঞ্চায়েতের সদস্য ও প্রধানরা সেই ত্রাণ সংগ্রহের কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতেই পঞ্চায়েত প্রধান (panchayat chief) কার্তিক ঘোড়া অভিযোগ করেন তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে ত্রাণ নিয়ে চলে যায় বিজেপির অন্য কর্মীরা। এরপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
প্রধান কার্তিকের দাবি, ব্লক অফিসে ত্রাণ সংগ্রহের জন্য যান তিনি। সেই সময় নির্মল মান্না সহ একাধিক বিজেপি কর্মী হঠাৎ সেখানে ঢুকে এসে ত্রাণ লুঠ করেন। তাঁর দাবি, ৮৭৫টি ত্রিপল, দু বস্তা চিড়ে, আট টিন গুড়, এক বস্তা গুড়ো দুধ, তিন বস্তা বিস্কুট ও পাঁচ বস্তা মুড়ি চুরি করে অভিযুক্তরা। খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

প্রতি বছর মেদিনীপুর এলাকায় বন্যার ত্রাণ চুরির ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজেও ত্রিপল চুরিতে অভিযুক্ত। হুগলিতে রবিবার উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিলির কাজ পরিদর্শনে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant) নিজে। হুগলির সরকারি আধিকারিকদের দাবি, বিজেপির দুর্নীতির জন্যই মুখ্যসচিব (Chief Secretary) নিজে ত্রাণ বিলি পরিদর্শনে আসতে বাধ্য হন।
