Sunday, August 24, 2025

DVC জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে, কোনও ‘মানুষ মারা’ সংস্থাকে চাই না! বীরভূমে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

গত কয়েকদিন থেকেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে প্লাবিত এলাকায় ঘুরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হুগলি, হাওড়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর সফরের পরে সোমবার তিনি যান পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, দুর্গাপুর। মঙ্গলে বীরভূম। আর সেখান থেকে ফের মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”DVC জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে”! এদিন ডিভিসি-র সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না বলে ফের জানান মুখ্যমন্ত্রী।ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি। তার জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে বিপুল জল ছাড়ছে DVC। ফলে বানভাসি বাংলা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলার বৃষ্টি এখানে বন্যা হয় না। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের ভয় হয়। DVC বাংলায় ম্যান মেড বন্যা করে। মমতা বলেন, এখন ডিভিসি-র জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জলশক্তি মন্ত্রক থেকে নেওয়া হয়। তারা বাংলাকে ভাসায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও খানাকুল ১-২, উদয়নারায়ণপুর, হাওড়া, ঘাটাল জলের তলায়। বীরভূমের লাভপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিন বীরভূমের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সমস্ত নির্দেশ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-কে আক্রমণ বলেন মমতা। বলেন, ”ডিভিসি জল ছাড়বে আর মানুষ মরবে!”তোপ দেগে মমতা বলেন, ”আমরা কোনও মানুষ মারা সংস্থাকে চাই না।” তিনি জানান, ”ডিভিসি থেকে আমাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদত্যাোগ করেছেন। প্রতিনিধি পাওয়ার সচিব শান্তনু বোস পদত্যাাগ করেছেন। আমরা চাই না এমন সংস্থা যারা জল ছেড়ে মানুষ মারে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”কলকাতা থেকে তো সব সরিয়ে নিয়েছে। পাওয়ার ডিরেক্টর নেই। কলকাতায় একটা বিল্ডিং থাকবে। আর কলকাতার কথা শুনবে না? বাংলার লোক মারবে? মানুষ আগে না, একটা কাঠামো আগে? এখানে যারা থাকে তারা আরাম কেদারায় বসে থাকে।”
আরও খবর: ওষুধের নামে ট্যালকম পাউডার! উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রে হাওলায় জাল ট্যাবলেট
মুখ্যমন্ত্রী কথায়, ”ডিভিসি তৈরি হয়েছিল বন্যা থেকে মানুষ বাঁচাতে। চার লক্ষ কিউসেক জল রাখতে পারে। কিন্তু সব জল ছেড়ে দিচ্ছে। তিনতলা সমান জল। কুড়ি বছর ধরে ড্রেজিং করে না। ফারাক্কায় ড্রেজিং করে না। মানুষকে জলে ডুবিয়ে মারে। বাংলাকে তো পাহাড় বানাতে পারি না। দার্জিলিংও ভুটান আর নেপালের জলে ডোবে।”

কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যআমন্ত্রী বলেন, ”ইসিএল রঘুনাথপুরে একটি প্লযা ন্ট বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম বাংলাকে দুই লক্ষ কোটির প্রজেক্ট দিয়েছিলাম। তখন কিছু হলেই খবর।” তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ”রেলে কী অবস্থা। প্রতিদিন ডিরেলমেন্ট? ডিরেইলমেন্টে তো বিশ্ব রেকর্ড করছে ভারতীয় রেল। মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। শুধু ভোট চাইতে এলে হবে? বিপদে মানুষের পাশে থাকতে হবে।”









Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version