আর জি করে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ডাক্তাররা, সিবিআই দফতরে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সুশান্ত

সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) যখন থেকে আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) আসেন তখন থেকে হাসপাতালে অসম্ভব থ্রেট কালচার শুরু হয়। সেই কাজে সহযোগী ছিলেন অভিযুক্ত আশিস পাণ্ডে

চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ খুনের ঘটনায় একাধিক অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালের থ্রেট কালচার (threat culture) যার মধ্যে অন্যতম। এমএসভিপি তথা অধ্যক্ষ (Principal) হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পরই সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় (Saptarshi Chatterjee) এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। দ্রুত হাসপাতালের অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করে জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। সেই মতো বুধবার হাসপাতালে ১২ জন অভিযুক্ত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হলে সেই প্রশ্নোত্তরের ঘরের বাইরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors)।

শুক্রবার থেকে তদন্ত কমিটি হাসপাতালেই জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করে। বুধবার সেখানে থ্রেট কালচারের (threat culture) সঙ্গে যুক্ত ১২ চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হলে জিজ্ঞাসাবাদের ঘরের বাইরে স্লোগানিং শুরু করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁরা দাবি জানান, শুনানি পর্বে তাঁদেরও ঢুকতে দিতে হবে। তাঁরা অভিযোগকারী হিসাবে নীরবে শুনানি শুনতে চান। তবে সেই দাবিতে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘরের বাইরে বসে স্লোগান দিতে থাকেন বলে জানান অধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত ১২ চিকিৎসক হাসপাতালের গেট থেকে বেরোনোর সময় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপের মধ্যে তাঁদেরকে বের করা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন, সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh) যখন থেকে আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) আসেন তখন থেকে হাসপাতালে অসম্ভব থ্রেট কালচার শুরু হয়। সেই কাজে সহযোগী ছিলেন অভিযুক্ত আশিস পাণ্ডে, যাঁকে বুধবার জেরা করে হাসপাতালের অন্তর্বর্তী কমিটি।

অন্যদিকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে বুধবার তৃতীয় দিনের জন্য হাজিরা দেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। ধর্ষণ-খুনের তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে আর্থিক বেনিয়মের মামলায় প্রথমবার ডেকে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক সুশান্ত রায়কে। চিকিৎসকদের দাবি, উত্তরবঙ্গ লবির নাম করে যে চিকিৎসকরা উত্তরের বিভিন্ন মেডিক্যাল করেজে থ্রেট কালচার কায়েম রেখেছিলেন তাঁদের মাথায় ছিলেন সুশান্ত রায়।