তো.পধ্বনিতে শুরু বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন পুজো!

আজ থেকে ১ হাজার ২৮ বছর আগে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের (Bishnupur , Bankura) প্রাচীন মল্লরাজ পরিবারে দুর্গাপুজোর (Durga Puja সূচনা। শতাব্দী প্রাচীন রাজত্ব অতীত হয়েছে আগেই, এখন সেই রাজ্যপাটও আর নেই। কিন্তু পুজোর নিয়মে বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। প্রাচীন রীতি এবং ঐতিহ্য মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজাদের কুলদেবী মৃন্ময়ীর পুজো। পাহাড়ের উপর কামানের তোপ দেগে ঘোষণা করা হলো দেবীর আগমন বার্তা।

শারদীয়া উৎসবের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। কিন্তু বহু বনেদি বাড়ি এবং রাজ পরিবারে প্রথা মেনে প্রাক পুজোর আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিষ্ণুপুরের ১ হাহার ২৮ বছরের পুরনো প্রাচীন মল্লরাজ পরিবারের দুর্গোৎসব। টানা ১৮ দিন ধরে পটে পুজো চলবে। বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজারা আর নেই। কিন্তু ভাঙ্গাচোরা দেওয়ালের কান পাতলে আজও যেন শোনা যায় প্রাচীন ইতিহাসের পদধ্বনি। শহরের শাঁখারি বাজারের ফৌজদার পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকতা মেনে আজও প্রতিবছর বড় ঠাকুরানী, মেজো ঠাকুরানী ও ছোটো ঠাকুরানীর আলাদা-আলাদা তিনটি পট আঁকেন। মন্দিরে দেবী মৃন্ময়ীর প্রতিমার পাশেই এই তিনটি পট রেখেই পুজো হয়। আনুমানিক ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন রাজা জগৎ মল্ল বিষ্ণুপুরে কুল দেবী মৃন্ময়ীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পুজোর আড়ম্বরে কিছুটা ভাটা পড়লেও উৎসাহ বিন্দুমাত্র কমেনি। বৃহস্পতিবার তোপ ধ্বনি শুনতে ভিড়ে জমিয়েছিলেন জেলার প্রায় সব মানুষ।প্রাচীন ঐতিহ্য আর পরম্পরার সাক্ষী থাকতে আজও জেলা,রাজ্য তথা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও প্রচুর জনসমাগম এই পুজোর বৈশিষ্ট্য।