আইএসএল-এ হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের

আইএসএল-এ হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গল এফসির। এদিন প্রথম ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে ২-৩ গোলে হারল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। আর ম্যাচ হারতেই যুবভারতীতে উঠল ‘গো ব্যাক’… স্লোগান। এদিন এফসি গোয়ার হয়ে হ্যাটট্রিক প্রাক্তন লাল-হলুদ ফুটবলার বোরহা হেরেরার।

ম্যাচের শুরু থেকেই চলে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন বোরহা। এই গোল হজম করতে না করতেই ফের এগিয়ে যায় গোয়া। এবারও সেই গোল লাল-হলুদের প্রাক্তনী। ২০ মিনিটে গোল করেন তিনি। তবে গোল পেয়ে সেলিব্রেট করেননি একবারও বোরহা। তবে এরপর পাল্টা আক্রমণ চালায় লাল-হলুদ। ২৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে এটি টুকু ভুল করেননি মাদিহ তালাল। এরপর আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকে লাল-হলুদ।

দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করলেও, দাপট বজায় থাকে গোয়ার। যার ফলে ম্যাচের ৭১ মিনিটে সেই গোল গোয়ার। আবার সেই বোরহা। হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। হ্যাটট্রিক হওয়ার পরেও সতীর্থদের সেলিব্রেশন করতে বারন করেন লাল-হলুদের প্রাক্তনী। তবে গ্যালারি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সুপার কাপ জেতান বোরহাকে অভিবাদন জানান লাল-হলুদ সমর্থকরা। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ডেভিডকে মাঠে নামিয়ে দেন কুয়াদ্রাত। শেষ দিকে তাঁর গোলেই ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। আনোয়ার আলির দূর থেকে নেওয়া শট লক্ষীকান্ত কাট্টিমনি সেভ করলেও তা ডেভিডের পায়ে পড়ে। মাথা ঠান্ডা রেখে বল জালে জড়ান তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। শেষদিকে গোলের প্রচুর সুযোগ পেলেও সেখান থেকে কাজের কাজ করতে পারেননি ক্যাপ্টেন ক্লেইটন সিলভা। শুরু থেকেই রাইট ব্যাকের অভাব বোধ করছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। রাকিপের চোট থাকায় সেই জায়গায় সৌভিক চক্রবর্তীকে ব্যবহার করলেও তা কাজে আসেনি। শেষ অবধি এই সমস্যা ভুগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।

আরও পড়ুন- আইএসএল-এ প্রথম জয় পেয়ে কী বললেন সাদা-কালো কোচ?