নিষেধাজ্ঞার ধর্মতলায় জমায়েত! ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রোগীদের থ্রেট-অভিযোগ শাসকের

কুণাল ঘোষের দাবি, "থ্রেট কালচার (threat culture) রয়েছে সামগ্রিকভাবে। রোগীদের উপর যে থ্রেট কালচার চলে সেটাও বন্ধ হওয়া দরকার

বিচার চেয়ে আন্দোলন জারি রাখার কৌশল নিয়েছেন রাজ্যের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors)। এবার সেই আন্দোলন কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই করার ঘোষণা কনভেনশন (convention) থেকে করে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাল্টা রাজ্যের চিকিৎসকরা যে থ্রেট কালচার জারি রেখেছেন রোগীদের উপর, তা নিয়ে সরব রাজ্যের শাসকদল। সেই সঙ্গে সব মহল থেকে ভয় ও হুমকির সংস্কৃতি নির্মূল করার বার্তা দেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।

শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) প্রেক্ষাগৃহে গণ কনভেনশনের আয়োজন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা দাবি করেন ৫০ দিন তাঁরা বিচার পাননি। সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন চিকিৎসকরা। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া ও সিবিআইএর তদন্ত চলা পর্যন্ত আন্দোলনের গতি মন্থর না করার জন্য কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আর জি কর মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ সেপ্টেম্বর। তার আগের রাতে ফের রাজ্যের সর্বত্র মিছিলের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’।

বৃহস্পতিবারই কলকাতা পুলিশ কমিশনার (CP) মনোজ ভার্মা (Manoj Verma) ঘোষণা করেন শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জমায়েত করা যাবে না। তার মধ্যে ধর্মতলাও (Dharmatala) রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়েই শুক্রবার কনভেনশন থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করে দেন মহালয়ার দিন তাঁরা ধর্মতলায় জমায়েত করবেন। এই বিষয়ে মামলা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চলছে। তবে রায় প্রকাশের আগেই প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা যেভাবে তাঁদের পেশায় থ্রেট কালচারের (threat culture) অভিযোগ তুলে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, এবার পাল্টা সেই চিকিৎসকদের থ্রেটের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। কুণাল ঘোষের দাবি, “থ্রেট কালচার (threat culture) রয়েছে সামগ্রিকভাবে। রোগীদের উপর যে থ্রেট কালচার চলে সেটাও বন্ধ হওয়া দরকার। রোগীদের বিলটা যেভাবে বেড়ে চলে সেটাও থ্রেট কালচার। অভিযোগ আসে প্রেসক্রিপশন (prescription) লেখা থেকে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে (diagnostic centre) কোন পরীক্ষা করানো হবে, কোন কোম্পানির ওষুধ কিনতে হবে, সব নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এই করতে গিয়ে রোগীদের যে বিল বেড়ে যায়, এটাও এক ধরনের থ্রেট কালচার।”