Thursday, December 18, 2025

হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যে বিতর্কে ইউনুস

Date:

Share post:

নিউইয়র্ক সফরে গিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি ‘গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’-এর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলন নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। এই আন্দোলনের ‘নেপথ্যের মস্তিষ্ক’ আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া তার দুই সহকারী প্রেস সচিবককেও মঞ্চে ডাকেন মুহাম্মদ ইউনুস।

এ সব নিয়ে বিতর্কে এখন সরগরম বাংলাদেশ।হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলনকে অংশগ্রহণকারী সংগঠকরা কেউ সম্বোধন করছেন ‘গণ-অভ্যুত্থান’, কেউ বা ‘বিপ্লব’।বিল ক্লিন্টনের সংগঠনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের বার্তা, গোটা আন্দোলনটি আদতে ‘চমৎকার ভাবে পূর্ব পরিকল্পিত’। এতেই আপত্তি সংগঠকদের অনেকের।তাদের যুক্তি, ইউনুসের কথা অনুযায়ী বিপুল ধ্বংসকাণ্ড এবং মৃতদেহের পাহাড় তৈরিও প্রাক পরিকল্পনার ফল। জেল ভেঙে জঙ্গি ও অপরাধীদের মুক্ত করাও আগেই ঠিক করা। ভারতীয় দূতাবাসের সংস্কৃতি কেন্দ্রে আগুন দিয়ে লুটপাটও ছক অনুসারে করা।

নতুন সরকারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রাক্তন সেনাকর্তা এম সাখাওয়াত হোসেন সরেজমিন তদন্তের পরে বলেছিলেন, নিহতদের অধিকাংশের দেহ থেকে যে বিশেষ ধরনের বুলেট মিলেছে, তা পুলিশ ব্যবহার করে না। এমন বুলেটে নিহতের সংখ্যা পুলিশের বুলেটে নিহতের চেয়ে বেশি। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটোর ব্যবহৃত এই বিপুল পরিমাণ বুলেটে নিহতের সংখ্যা নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে।

সেই বুলেট রহস্য সমাধানে তদন্তের পথে হাঁটেনি ইউনুস সরকার। গুরুত্বহীন দফতরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সাখাওয়াতকে।ইউনুস যখন আমেরিকায় দাঁড়িয়ে বন্ধু ক্লিন্টনকে পাশে নিয়ে আবেগে বলে ফেললেন, আন্দোলনের প্রতিটি বাঁক ও পথ পূর্ব পরিকল্পিত, ফের সামনে চলে আসে সেই বুলেট রহস্য— যা নিয়ে মুখে কুলুপ বিপ্লবীদের।

‘ক্লিন্টন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’-এর অনুষ্ঠানে ইউনূস ডেকে নেন তাঁর বিশেষ সহকারী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া মহফুজ আলমকে। ক্লিন্টনকে তিনি বলেন, এই মাহফুজ গোটা আন্দোলনের ‘নেপথ্যের মস্তিষ্ক’, নিজে অবশ্য স্বীকার করে না! মাহফুজ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুতের নেতা হিসাবে পরিচিত। লেখিকা তসলিমা নাসরিন সমাজমাধ্যমে তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ইউনুস হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলনের প্রধান হোতা হিসাবে নিষিদ্ধ ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের নেতা মাহফুজ আলমের নাম ঘোষণা করেছেন। বিল ক্লিন্টন পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছেন। এই কি সেই আমেরিকা, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে? ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে?

অন্য যে দু’জন তরুণ-তরুণীকে ইউনূস মঞ্চে ডেকে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছেন, তাঁরা হলেন সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলি।তারা দু’জনেই দু’টি কাগজের সাংবাদিক ছিলেন। সম্প্রতি তাঁদের ইউনূসের সহকারী প্রেস সচিব নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আন্দোলনে দু’জন রিপোর্টারের কী ভূমিকা ছিল।









 

spot_img

Related articles

মানহানির অভিযোগে প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ কুমার শানু

সংগীতজগতে দীর্ঘ চার দশকের সাফল্যের কাহিনি থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্কে ফের শিরোনামে কিংবদন্তি গায়ক কুমার শানু। প্রাক্তন স্ত্রী...

বড়দিন ও বর্ষবরণে আইনশৃঙ্খলা আঁটসাঁট, পুলিশের ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা রাজ্য জুড়ে 

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গেল বড়দিনের উৎসব। কলকাতার অ্যালেন পার্ক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের...

বাজেয়াপ্ত যুবভারতীর সিসিটিভি ফুটেজ, নজরে শতদ্রু ঘনিষ্ঠরা

যুবভারতীতে মেসি(Messi) ইভেন্ট চরম বিশৃঙ্খলায় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার গঠিত সিট(SIT)। যুবভারতীর (Yubha bharati) যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ...

সিইও দফতরের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুক্রবার থেকেই মোতায়েন

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী (central security force) মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে...