চিকিৎসকদের ভরসা জোগাতে সাগর দত্তে নিরাপত্তায় বাড়ল পুলিশের সংখ্যা

রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে ওরা খেয়েছেন বেধড়ক মার। এমনকি ধর্ষণের হুমকিও বাদ যায়নি।এমনই অভিযোগ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর তারপরেই সাগর দত্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই বারবার চিকিৎসকদের আস্থা বাড়ানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। কিন্তু সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিয়েছে পরিস্থিতির বদল ঘটেনি।

আজ রবিবার থেকে প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মোট ৪৪ জন পুলিশ কর্মী নিরাপত্তায় আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন অফিসার, মহিলা পুলিশ আধিকারিক এবং সিভিক ভলান্টিয়র। আগে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৪ জন অফিসার, ১৬ জন কনস্টেবল এবং ৮ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। একই সঙ্গে পুরো হাসপাতালকে সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সেই কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

কিন্তু এরপরেও আতঙ্কের মধ্যে দিন গুনছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি, পুলিশের সামনেই শুক্রবার হামলা হয়। কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশ্ন, কীভাবে সাহস নিয়ে কাজে ফিরব? আগামিকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে কি জানায় সেদিকেই নজর সবার। আর এরপরেই যাবতীয় ব্যবস্থা বলেও এদিন জানান চিকিৎসকরা।

যদিও সাগর দত্তের ঘটনার পরেই ফের একবার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। শনিবার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা জিবি বৈঠক করেন। আর এরপরই এহেন ঘোষণা করা হয়। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকের পরেও এই হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে রাজ্য সরকার যে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বন্দোবস্তের আশ্বাস দিয়েছিল তাতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। এমনকি আস্থা ফেরাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার। আর এরপরেই ফের একবার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কর্মবিরতির ডাক বলে দাবি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিন সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta) ধর্নামঞ্চে নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও যোগ দিয়েছেন।