চাপ বাড়ছে! সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে ২টি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন

দুটি কমিটিতেই জুনিয়র ডাক্তারদের ২ প্রতিনিধি হিসেবে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি এবং ২ ইন্টার্ন রয়েছেন।

আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে দুটো আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হল। দুটি কমিটিতেই ১১ জন করে সদস্য রয়েছেন। একই সঙ্গে থাকছেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরাও।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাশাপাশি দুর্নীতি অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। সেই মামলার তদন্তে নেমে সুদীপ্তর তিনটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার সিডিআর খতিয়ে দেখছে ইডি। এই নিয়ে তদন্তেই দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভেট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তোলাবাজিতে নাম জড়িয়েছে তাঁর। কলকাতা মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডক্টর সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের কমিটি এই বিষয়টির তদন্তভার নিয়েছে। পাশাপাশি, সেন্ট্রাল ল্যাবের কিট এবং নানা যন্ত্রপাতি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যবহারের অভিযোগের তদন্তেও কমিটি গঠন হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যালের ফরেনসিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট-এর বিভাগীয় প্রধান ডক্টর চন্দন বন্দোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। দুটি কমিটিতেই জুনিয়র ডাক্তারদের ২ প্রতিনিধি হিসেবে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি এবং ২ ইন্টার্ন রয়েছেন।

আর জি কর দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তৎকালীন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্তর কাছে অভিযোগ করলেও, লাভের লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। এর জেরেই সুদীপ্তকে তদন্তের আওতায় আনে ইডি। বাড়ি ও নার্সিংহোমে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুদীপ্তকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।