আজ মহালয়া (Mahalaya)। প্রত্যেক বছরের রীতিমাফিক পিতৃপক্ষের অবসান এবং মাতৃপক্ষের সূচনার মাহেন্দ্রক্ষণেই জাগোবাংলা (Jago Bangla ) উৎসব সংখ্যার প্রকাশ হতে চলেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত দিয়েই দলীয় মুখপাত্র ‘জাগোবাংলা’র উৎসব সংখ্যার উদ্বোধন হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। পাশাপাশি দলনেত্রীর কথা ও সুরে এবছরের পুজোর গানের অ্যালবাম ‘অঞ্জলি’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হবে। নজরুল মঞ্চে (Nazrul Manch) বর্ণাঢ্য এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (CM of West Bengal) ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতৃত্বরা। থাকবেন মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক-সহ দলের কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। যাঁদের লেখা প্রবন্ধ-গল্প-উপন্যাস-ছোটগল্প-কবিতা জায়গা পেয়েছে এবারের ‘ উৎসব’ সংখ্যায় তাঁদের প্রত্যেকের উপস্থিতিতেই এই পূজাবার্ষিকী প্রকাশিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

বছরের প্রত্যেকটা দিন রাজনীতি থেকে খেলাধুলা সাহিত্য থেকে বিনোদনের খবর পরিবেশন করে ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকা। এসবের মাঝেই প্রত্যেকে মুখিয়ে থাকেন মহালয়ার জন্য। এদিনের উৎসব সংখ্যার প্রকাশ যেন নেত্রী এবং তৃণমূল শুভাকাঙ্খীদের ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে লেখার আঙ্গিকে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দেয়। বাংলার দুর্গাপুজো (Durga Puja in West Bengal) ধর্মীয় আচারের রীতির পাশাপাশি সামাজিক উৎসবের তকমা পেয়েছে বহুকাল আগেই। যত সময় যাচ্ছে এর মহিমা বেড়েই চলেছে। যার মাধ্যমে মৃৎশিল্পী থেকে ঢাকি, মণ্ডপসজ্জা থেকে আলোকসজ্জা— সব কিছুতেই জড়িয়ে আছে মানুষের আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকটি। এই সময় বাংলার জিডিপি দেশের জিডিপিকেও হার মানায়। দুর্গোৎসবের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আয়ে জেগে ওঠেন বাংলার মানুষ। উৎসবের আবহে সৃজনশীলতার প্রকাশ এবং রোজগারের পথ প্রশস্ত হওয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ শারদ উৎসব। পুজোর বাকি আর মাত্র ৭ দিন।
