মেয়েটির যন্ত্রণার মুখ! আর জি করে মূর্তি উন্মোচনকে ভর্ৎসনা কুণালের

প্রশ্ন তুলে কুণাল বলেন, “প্রতিবাদ, ন্যায়বিচারের দাবি থাকবেই। কিন্তু মেয়েটির যন্ত্রণার মুখ দিয়ে মূর্তি ঠিক নয়।

আর জি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিচয় প্রকাশ নিয়ে গুগলকে (Google) পর্যন্ত সংশোধনের নির্দেশিকা জারি করেছে। কোনওভাবে তাঁর অসম্মানে রাজ্য পুলিশ তথা সব ধরনের সমাজকে সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে নির্যাতিতার যন্ত্রণাকাতর মুখকে আর জি করের চিকিৎসকরাই ‘উৎসব পালনে’র মতো করে তুলে ধরলেন মহালয়ার (Mahalaya) দিন। চিকিৎসকদের এই কীর্তিতে তাঁদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের গাইডলাইনও স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি।

বুধবার, মহালয়ার দিন আর জি কর প্রাঙ্গনে (R G Kar Hospital) অভয়ার মূর্তি উন্মোচন করা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্যোগে। আর সেই মূর্তি প্রতীকী হিসাবে তুলে ধরে যন্ত্রণা কাতর এক নারীর ছবি। আদতে এভাবে মূর্তি বসানো যে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী, মনে করিয়ে কুণালের দাবি, “তিলোত্তমার নামে এই মূর্তিটি বসানো সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের স্পিরিটের পরিপন্থী। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটা করতে পারেন না। শিল্পের নামেও না।”

আর জি করের ঘটনায় গোটা বাংলা সরব হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে রাজ্য সরকার পর্যন্ত বিচারের দাবি জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার এই ধরনের মূর্তি তৈরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণাল বলেন, “প্রতিবাদ, ন্যায়বিচারের দাবি থাকবেই। কিন্তু মেয়েটির যন্ত্রণার মুখ দিয়ে মূর্তি ঠিক নয়। নিগৃহীতার ছবি, মূর্তি, নামে দেশে গাইডলাইন (guideline) আছে।”