পুজো উদ্বোধনে পড়ুয়াদের ট্যাব প্রদান, বন্যা পরিস্থিতিরও খোঁজ মুখ্যমন্ত্রীর

এরই পাশাপাশি বাংলা সদ্য ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়া নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন মমতা

0
1

দেবীপক্ষের দ্বিতীয়ায় একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোর উদ্বোধনে এসে স্মৃতিতে ডুবলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার এই জনপ্রিয় পুজো নিয়ে বললেন, অনেক স্মৃতি ভেসে আসে এখানে এলে। একডালিয়ার পুজোর সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকত প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। এ দিন, আরও একবার তাকে স্মরণ করেই তার স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ক্লাব’ নামেই পরবর্তীতে পরিচিত হয়ে ওঠে। একডালিয়ার দুর্গাপুজোকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যে পুজো এখনও থিমের স্রোতে গা ভাসায়নি। সুব্রত বিশ্বাস করতেন, থিমের কারণে পুজোর আসল গরিমা ম্লান হয়ে যায়। তাই প্রতিযোগিতার দৌড়ে না গিয়ে সাবেকি পুজোতেই একডালিয়াকে এভারগ্রিন রাখতে চেয়েছেন তিনি।

এদিন মমতা বললেন, সুব্রতদা নেই ভাবতে পারি না। একসময় কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতাম। প্রতিদিন পালা করে সকাল ৯ টায় বাড়ি আসতাম। দুর্গাপুজোর আসার ১ মাস আগে থেকে নবান্নে এসে বসে থাকত, কবে যাবি বল।। আজ সব আছে প্রাণের মানুষটা নেই। মমতা স্মৃতি হাতড়ে আরও বলেন, এখানে আসলে অনুরোধ থাকতো স্তোত্র পড়তে হবে। বললে তো অনেকে ভুল ধরে। এক শাস্ত্রের কথা আছে। পঞ্জিকার অনেক মত আছে। চন্ডীপাঠ-এর অনেক মত আছে। ন্যারেটিভ পার্ট আজ তো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স!

এরই পাশাপাশি বাংলা সদ্য ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়া নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, আমি খুশি বাংলাকে ক্লাসিকাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১০ বছর ধরে ফাইট করেছি। আমি খুশি। আমি গবেষণা করে দিয়েছিলাম। আমাদের গবেষণা পত্রকে অস্বীকার করতে পারেনি।এরপর মুখ্যমন্ত্রী যান ত্রিধারা সম্মিলনীতে। ওই পুজোর উদ্বোধনের পর তিনি ১১-১২ ক্লাসের ছাত্রীদের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেন।আবার ৬৬ পল্লিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা আজই অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। পুজো মন্ডপ থেকেই জেলার বন্যা পরিস্তিতির খোঁজ নেন। এদিন কলকাতার ২৫ টি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। ভার্চুয়ালি জেলার ৪০০ টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।