বেনজির সৌজন্য: বিমানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের তী.ব্র প্র.তিবাদ কুণালের

রাজনৈতিক সৌজন্যের এক বেনজির উদাহরণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি ভাইরাল হয়। তার মধ্যে বেশ কিছু ছবি স্থান-কাল বোঝা না গেলেও তা নিয়ে ট্রোল করতে ছাড়েন না একশ্রেণির নেট নাগরিক। সম্প্রতি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর (Biman Basu) একটি ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। সেটি নিয়ে তাঁকে ট্রোল করা হয় রীতিমতো। আর সেই ট্রোলের তীব্র প্রতিবাদ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কোনও একটি রেস্তোরাঁয় চেয়ার টেনে বসছেন বিমান বসু। দেখে মনে হচ্ছে হয়তো তিনি খেতেই বসছেন। ছবিটি কবেকার, কোথাকার, কত দিন আগে তোলা, কী প্রেক্ষিতে তিনি ওখানে গিয়েছিলেন- এর কোনা কিছুই না জেনে সেই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে কটুক্তি করতে শুরু করেন অনেকেই। বিষয়টি নজরে পড়ে কুণাল ঘোষের। সঙ্গে সঙ্গেই সেই পোস্ট নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে এর প্রতিবাদ করেন কুণাল। তিনি লেখেন, দেখে মনে হচ্ছে যে রাস্তার ধারে কোনও হোটেলে দূরযাত্রার মাঝে খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছেন বিমান বসু। হোটেলে খেতে যাওয়াটা কোন অন্যায় নয়। তবে বিমান বসু এভাবে কোনও হোটেলে খেতে যাবেন না। কুণালের এই বক্তব্যের পরে অনেকেই বিমান বসুকে নিয়ে পোস্ট ডিলিট করে দেন। তারপরে ফের প্রাক্তন রাজ্যসভার সম্পাদক লেখেন,
“বিমান বসুকে নিয়ে কাল রাত থেকে এই ছবি এবং বিভিন্ন মন্তব্যের পোস্ট ঘুরছে। সাধ্যমত আমি সেইগুলিতে একই বয়ানে আপত্তি জানিয়েছি। ভালো লাগল, আমার মন্তব্যের পর একাধিক ফেসবুকবন্ধু বিমানদাকে নিয়ে পোস্ট ডিলিট করেছেন। এই সুস্থতা ও সৌজন্য থাকুক। পরামর্শ মানার জন্য ধন্যবাদ।”

 

একইসঙ্গে সিপিএমের কর্মীদের খোঁচাও দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। পোস্টের শেষে ব্র্যাকেটে লিখেছেন,
“( যদিও বিমানদার পার্টির ফেসবুক বিপ্লবীদের 99% এই ভদ্রতা জানে না। তাদের জবাব তাদের মত করেই দেব আমরা।)”

তবে, রাজনৈতিক দিক থেকে একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেও বর্ষীয়ান এক রাজনীতিবিদের হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ সত্যি নজিরবিহীন। এই ধরনের সৌজন্যই বাংলার সংস্কৃতি। তবে অনেক সময় রাজনীতির ময়দানে সে কথা ভুলে যান নেতানেত্রীরা। কুণালের এই পোস্ট নিঃসন্দেহে সৌজন্যের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকল।