Monday, November 24, 2025

‘ডাক্তাররা কাজে ফিরুন’, নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের নিরাপত্তা-রিপোর্টে সুপ্রিম সন্তোষ প্রকাশ

Date:

Share post:

ফের একবার রাজ্যের চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। আর জি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মঙ্গলবার হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্ট্য়াটাস রিপোর্ট (status report) পেশ করে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে আইনজীবী সেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটিতে ডাক্তারদের রাখার সুপারিশ করলে ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।

মঙ্গলবারের শুনানিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। জানানো হয় রাজ্যের ২২৮টি মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) নিরাপত্তা সংক্রান্ত বকেয়া কাজ ২১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আর জি করের (R G Kar Hospital) নিরাপত্তার কাজ শেষ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। সেই সঙ্গে অভিযোগ শোনার জন্য আলাদা শাখা তৈরির প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয়। জানানো হয় হাসপাতালগুলিতে রাজ্য ও জেলাস্তরে নিরাপত্তা অডিট তৈরির কথা। ২০২৪-২৫ সালের অডিটের উল্লেখ করে সিসিটিভি (CCTV) বসানো ও তার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের কাজের জন্য ১ টাকা বরাদ্দ ছিল। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যা করা সম্ভব তার সুপারিশ করেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে চিকিৎসাক্ষেত্রে অভ্যন্তরীন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু হওয়ার রিপোর্টও পেশ করা হয়।

এপ্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং (Indira Jaisingh) দাবি করেন, এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সঠিকভাবে না থাকার জন্য় রোগীর আত্মীয়দের কোপের মুখে পড়তে হয় চিকিৎসকদের। রাজ্যের ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (IHMS)-এর সঙ্গেই বেডের সংখ্যা থাকার সুপারিশ করেন প্রধান বিচারপতি। সেই সময়ই আইনজীবী করুণা নন্দী সুপারিশ করেন, যেন নিরাপত্তা অডিট সংক্রান্ত কমিটিতে চিকিৎসকদের প্রতিনিধি রাখা হয়। পাল্টা প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তার জন্য চিকিৎসকদের আগে কাজে যোগ দিতে হবে।

রাজ্যের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির রেস্টরুম (rest room), ডিউটি রুম (duty room), সিসিটিভি (CCTV) সংক্রান্ত কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন। শুধু আর জি করের কাজ বাকি রয়েছে। রাজ্য়ের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের শুধুমাত্র আর্থিক দিক নয়, ছবি সহ তথ্য পেশ করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির। সেই সঙ্গে কীভাবে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, তাও তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, বেসরকারি নিরাপত্তা (private security) রক্ষী নিয়োগের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। পাল্টা এক আইনজীবী করুণা নন্দী ফের বেসরকারি কর্মী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে প্রধান বিচারপতি এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিজ রেগুলেশন অ্যাক্ট ২০০৫ অনুযায়ী নিয়োগের উল্লেখ করে আপত্তি নাকচ করে দেন।

spot_img

Related articles

১৭ দিনে কাজ শেষ করলেন রাজ্যের দুই BLO: জানালেন হাজারো সমস্যার কথা

নির্বাচন কমিশন কতটা কাঁটায় ভরা পথে রাজ্যের বুথ লেভেল আধিকারিকদের এসআইআর প্রক্রিয়া করতে বাধ্য করছে, তার প্রমাণ রাখলেন...

পিসেমশাই-বৌমা সম্পর্কে স্বামীকে মারতে সুপারি কিলার! বরাহনগর গুলিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অবৈধ সম্পর্কের জেরেই বরাহনগরে গুলি চলেছিল, তদন্তে উঠে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীকে খুন করার জন্য সুপারি কিলার...

দূষণে দমবন্ধ রাজধানীর! বিদেশ সফর নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ দূষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। সমাজমাধ্যমে তাঁর কটাক্ষ,...

৪৪ বিধানসভার ভোটার মায়ারানী? SIR স্ক্যানের পর হইচই পাণ্ডবেশ্বরে

বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার মাঝেই পাণ্ডবেশ্বরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনুমারেশন ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা...