Sunday, August 24, 2025

প্রায় ৩ মাস আগেই ভারতে বসবাসের অনুমতির মেয়াদ (রেসিডেন্স পারমিট) শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের নির্বাসিত জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin)। তাই ভারতে বসবাস নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেছেন তিনি। গত ২২ জুলাই মেয়াদ শেষ হয়েছে তসলিমার ভারতে থাকার অনুমতি। এ নিয়ে তিনি ফোনে ও ইমেইলে যোগাযোগ করেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) সঙ্গে। তবে এ বিষয়ে তিনি জবাব না পেয়ে এবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন সুইডিশ নাগরিক (Swedish Citizen) হিসাবে ভারতে থাকা ওপার বাংলার নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা।

লেখিকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে লেখেন, “সরকারের কেউই আমার চেনা নয়। আমি কারও সঙ্গে যে যোগাযোগ করবো জানার জন্য যে কেন আমার রেসিডেন্স পারমিটের (Residence Permit) মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না, তার উপায় নেই। গুগল থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমেইল ঠিকানা নিয়ে ইমেইল করেছি, তার কোনও উত্তর পাইনি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘যে দেশে জন্মেছিলাম, কিছু সত্য উচ্চারণ করেছি বলে সে দেশ নির্বাসন দিল, যে রাজ্যে ভাষার টানে আর প্রাণের টানে বাস করছিলাম, সে রাজ্যও অজ্ঞাত কারণে নির্বাসন দিল। আর যে শহরে বাস করছি এখন, অন্য কোনও দেশে বাস করার কোনও উপায় নেই বলে, সে শহরও কি অবশেষে তল্পিতল্পা গুটোতে বলবে?”

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও বহু সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে ভারতে (India) তাঁর ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় তিনি। ভারতে নিজের বসবাসের বিষয়ে উদ্বিগ্ন তসলিমা বলেন, “এই বয়সে এই স্বাস্থ্য নিয়ে আমার আর কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। নিজের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলার মধ্যে থাকতে ভালবাসি বলে কলকাতায় ছিলাম। সেখান থেকেও চলে আসতে হল দিল্লিতে। এ বার আমি কোথায় যাব?”

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version