প্রেমিকের হাতেই খুন নাকি অন্য কোন কারণে মৃত্যু? ধর্ষণ-খুন নাকি আত্মহত্যা? বুধবার কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar student rape case) পুজো প্যান্ডেলের মধ্যে নাবালিকা পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই রহস্য বাড়ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিক রাহুল বসুকে (Rahul Basu) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে (JNM Medical College and Hospital) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হবে। ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরিবারের উপস্থিতিতেই ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া চায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও ভরসা করতে পারছে না নাবালিকার পরিবার। বাড়ির মেয়ের মৃত্যু রহস্যের কিনারায় এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) দ্বারস্থ হতে চলেছে তাঁরা।

দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর মা এবং দাদুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর প্রেমিককে বুধবারে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু রহস্য বাড়ায় মৃতার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস। যেখানে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মেলে। কিন্তু নির্যাতিতা নিজে সেটি লিখেছিলেন নাকি অন্য কেউ তাঁর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘোরাতে চেয়ে এই পোস্ট করেছেন তা স্পষ্ট নয়। শীত ও রাহুল জানাচ্ছেন মঙ্গলবার সারাদিন তাঁর সঙ্গে বান্ধবীর দেখায় হয়নি। এর পাশাপাশি কিছুদিন ধরে টাকা চাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চলছিল বলেও জানা যাচ্ছে। আজই ঘটনাস্থলে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। যদিও মৃতার মায়ের দাবি, পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এটা এক জনের কাজ হতে পারে না। বাকিদের ব্যাপারে পুলিশের কোন উৎসাহ নেই কেন?” তাঁর অভিযোগ, পুলিশ একাধিক কাগজে সই করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমনকি কাগজ না পড়িয়েই সই করানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেছিলেন, ‘‘তরুণীর মৃত্যুর নেপথ্যে ধর্ষণ না কি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার ইতিমধ্যে অভিযোগ জমা দিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত ধারা যুক্ত করে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত চলাকালীন যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাবে, সেগুলি তদন্তে সাক্ষ্য হিসেবে যুক্ত করা হবে।’’
