অভিযুক্তকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন কৃষ্ণনগরের ছাত্রী! নাবালিকার মৃত্যু রহস্য বাড়ছে ধোঁয়াশা

কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar Case) নাবালিকার মৃত্যুর রহস্যে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ (Kotwali Police) জানতে পেরেছে ধৃত রাহুলের সঙ্গে নাবালিকার গোপনে বিয়ে হয়েছিল। মৃতার ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিযুক্তকে ‘Husband’ বলে পরিচয় দেওয়া রয়েছে। এখানেই শেষ হয় দুজনের প্রেমের সম্পর্কে তৃতীয় মানুষের আগমনের জেরেই অশান্তি শুরু হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনা দিন রাহুলের সঙ্গে প্রায় তিন মিনিট ফোনে ঝগড়া হয় তরুণীর। প্রেমিকাকে দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত, এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকি ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের দিন নাকি দীর্ঘক্ষণ অন্য বান্ধবীর সঙ্গেই ছিলেন ধৃত যুবক। সেই ঝামেলা থেকেই কি পড়ুয়ার মৃত্যু? তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস লিখলো কে? কেনই বা পুজোমন্ডপের কাছে অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গেল? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন তরুণী। শরীরে কেরোসিনের নমুনা মিলেছে। যদি আত্মহত্যাই হয়, তাহলে কেন এতটা নির্মম পথ বেছে নিলেন মৃতা তা নিয়ে সন্ধিহান পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে টাকা নিয়ে অশান্তির জেরে নাবালিকার মৃত্যু বলে মনে করা হলেও, তদন্তকারীদের ধারণা প্রেমের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন এই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে। চলতি বছরের ২৫ জুন ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদল করেছিলেন তরুণী। এমনকি নিজের ফোনে রাহুলের নাম Husband বলে সেভ করেছিলেন। এতেই মনে করা হচ্ছে প্রেমিকের সঙ্গে গোপনে বিয়ে সেরেছিল নাবালিকা। অনুমান, ঘটনাচক্রে তাঁদের মাঝে চলে আসে তৃতীয় কেউ। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। গত মঙ্গলবার দিনভর কৃষ্ণনগরের একাধিক জায়গায় একা ঘুরতে দেখা যায় নাবালিকাকে। সিসিটিভি ফুটেছে তা ধরাও পড়েছে। যদি অভিযুক্ত যুবক ওই দিন অন্য এক বান্ধবীর সঙ্গে রানাঘাটে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। এবং তিনি মৃতার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন বলেও শোনা যাচ্ছে। ফলে খুন নাকি বিচ্ছেদের জেরে আত্মহত্যা, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে ফরেনসিক টিম। যদিও ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।