নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতাতেও বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকায় রাখা হয়নি। এর বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Suprem Court)। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে ঘোষণা করলে বিবাহ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভিত কি নড়ে যেতে পারে? শুনানিতে মামলাকারীকে পাল্টা প্রশ্ন করে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachur), বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ।

মোদি সরকার ভারতীয় ন্যায় সংহিতাতেও বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকায় রাখা হয়নি।
বর্তমান আইনে সাবালিকা স্ত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে স্বামীরা অপরাধী বলে গণ্য হন না। এর বিরোধিতায় অভিযোগ জমা পড়ে। এর বিরোধিতায় কেন্দ্রের যুক্তি, বৈবাহিক ধর্ষণ যতটা আইনি বিষয়, তার চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক উদ্বেগের কারণ। তাদের যুক্তি, বিয়ের পর যৌনতায় অপরাধের বিষয়টি চলে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের ভিত নষ্ট হবে না।

বৃহস্পতিবার, কেন্দ্রের সেই যুক্তি নিয়েই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, “বিয়ের (Marriage) পর বিনা অনুমতিতে যৌন সম্পর্ক যদি অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়, তাহলে সেইক প্রতিষ্ঠানের ভিত নড়ে যেতে পারে বলে যে যুক্তি উঠে আসছে, তার সম্পর্কে আপনাদের মতামত কী?”

পাল্টা মামলাকারীদের আইনজীবী করুণা নন্দী জানান, “খুশি মনে সম্মতি দেওয়ার অধিকার যেমন আমার আছে, তেমন না বলার অধিকারও আমার থাকা উচিত। ধর্ষণ তো আগে থেকেই অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। তাহলে স্বামীরা সেটা থেকে বাদ যাবেন কেন? এতে তো আইনিগত সমস্যা নেই।” দুপক্ষের মত শুনে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকায় না রাখার বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Suprem Court)।

আরও পড়ুন- একনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম
