“প্রশাসনকে না জানিয়ে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন। কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়?” প্রশ্ন ছুড়ে হুমকি রোধে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। সোমবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছেমতো কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় আছি বলে থ্রেট দিতে পারি না।’’
অবিলম্বে থ্রেট কালচার বন্ধের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি। তদন্ত করা হবে। পক্ষপাতিত্ব চলবে না। আপনার যাকে পছন্দ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, এটা হতে পারে না।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “সরকারকে না জানিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কী ভাবে তৈরি হল?” ৪৭ জন সাসপেন্ডেড প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যস্তরের টাস্ক ফোর্সে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
একই সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জনগণের টাকা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। ধর্না এবং অবস্থানের মাধ্যমে সরকারি ডাক্তাররা নিজেদের দাবি জানালেও, ৯ আগস্ট থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ৫৬৩ জন সরকারি সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে চুটিয়ে প্র্যাকটিস চালিয়েছেন। এই বিষয় নিয়েও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।