রাজ্যের ছয় আসনে উপনির্বাচনে (By-Election) দলগুলির মধ্যে প্রথম প্রার্থীদের (Candidates) নাম ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবির (BJP)। এর মধ্যে ২০২১ সালে বিজেপির একমাত্র জয়ী আসন মাদারিহাট (Madarihat) কেন্দ্রে পদ্মশিবিরের প্রার্থী রাহুল লোহার। আর তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকেই আবার যেন ‘জীবিত’ হয়ে উঠেছেন তারকেশ্বর লোহার (Trakeshwar Lohar)। ভোটের আড্ডা থেকে প্রচারের অলিগলি ঘুরে ফিরে আসছে প্রার্থীর পিতৃপরিচয়। কিন্তু কেন?

আসলে মাদারিহাটে বিজেপি (BJP) প্রার্থী রাহুলের বাবা তারকেশ্বর লোহার বাম আমলে ছিলেন ফালাকাটার দলগাঁও চা বাগানের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিটু নেতা। প্রয়াত বিতর্কিত সিটু নেতা তারকেশ্বরকে টেনেই রাহুলের বিরুদ্ধে মাদারিহাটে (Madarihat) উপনির্বাচনে প্রচার পথে নামতে চলছে বিরোধিরা। শনিবার রাহুলকে প্রার্থী করার পরই তারকেশ্বর প্রসঙ্গ শোনা যায় অনেকের মুখেই। এনিয়ে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যও করেন কেউ কেউ। বের করা হয়েছে পুরোনো ঘটনার খবরের কাগজের কাটিং। হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল ওই খবরের কাটিং পৌঁছে যাচ্ছে সকলের কাছে। এবিষয়ে রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিকবড়াইক (Prakash Chik Baraik) বলেন, “বিজেপির মাননীয় প্রার্থীর বাবা সিপিএম নেতা ছিলেন। চা শ্রমিকদের অত্যাচার, শোষণ করতেন। তাঁর ওপর ক্ষোভেই শ্রমিকরা ১৯ জনকে পুড়িয়ে মেরেছিল। প্রচারে সবই তুলে ধরা হবে।”

২০০৩ সালে দলগাঁও চা বাগানে কর্মী নিয়োগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তারকেশ্বরের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। তারকেশ্বর প্রাণে বাঁচলেও জীবন্ত দগ্ধ হন ১৯ জন। ভিটেছাড়া হতে হয় লোহার পরিবারকে। এরপর থেকে বীরপাড়া থানার শিশুঝুমরায় রয়েছে পরিবারটি। রাহুলও প্রথমে এসএফআই এবং পরে সিপিএম করতেন। ২০১৬ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। তিনি প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর প্রয়াত বাবার সময়কার ঘটনা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হওয়ায় অসন্তুষ্ট রাহুলও। অস্বস্তিতে বিজেপির জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গাও (Manoj Tigga)।

আরও পড়ুন- সোদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন! এলাকায় উত্তেজনা, ব্যাহত যান চলাচল
