আলিপুরদুয়ারে বছর সাতের বালিকাকে ধর্ষণ-খুনের (Rape-Murder) অভিযোগে গ্রেফতার তিন জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তকে নেপাল সীমান্ত (Nepal Border) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে আরও ২ দুষ্কৃতী। এদিকে এই নারকীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) মন্তব্য করেন, “অত্যন্ত বাজে ঘটনা। এই ধরণের সামাজিক অপরাধ সবদিক থেকে বন্ধ হওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রেফতার হয়েছে দোষীরা। যারা এই নারকীয় সামাজিক অপরাধ করেছেন। এগুলো কোন মানুষের মধ্যে পড়ে না, সমাজের কিছু এরকম জন্তু জানোয়ার থাকে যেগুলো এই ধরণের অপকর্ম করে। পুলিশ গ্রেফতার (Arrested) করেছে তাঁদের দ্রুত চরমতম শাস্তি হোক। স্বাভাবিক ভাবে ঘটনার নিন্দা হোক। পুলিশ ঠিকঠাক ভাবে কাজ করেছে।”

আরও পড়ুন- আলিপুর মিউজিয়ামে ইতিহাস ছুঁতেই দৃষ্টিহীনদের জন্য চালু ব্রেইল বান্ধব : ফিরহাদ হাকিম
সূত্রে খবর, আটদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সাত বছরের ওই বালিকা। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ মেলে। অভিযোগ, অপহৃত ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করে, খুন করা হয়েছে। দেহ পোড়ানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের বক্তব্য, ধর্ষণ করে খুন কি না, তা ময়নাতদন্তের পরে স্পষ্ট হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত ফোন ব্যবহার করে না। পরিবারের সঙ্গেও তার তেমন সম্পর্ক ছিল না। তাই অভিযুক্তকে খুঁজতে সমস্যা হয়। পুলিশ তরফে জানানো হয়, এর পরে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দার কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই অভিযুক্ত বিহারের (Bihar) কিসানগঞ্জে একটি ইটভাটায় কাজ করেন। সেই ইটভাটা-সহ লাগোয়া কয়েকটি ইটভাটাতেও খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। সেখান থেকেই খবর মেলে, ওই অভিযুক্ত নেপালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর পরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার (Arrested) করে তাকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।

এদিকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে রাস্তায় নেমে পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দোষীদের কঠিনতম শান্তির দাবি করে তিনি বলেন, “এর সঙ্গে আইন শৃঙ্খলার কোনও সম্পর্ক নেই। তার কারণ হচ্ছে সামাজিক অপরাধগুলি যুগে যুগে সিপিএমের জমানায় বামতলা, ধামতলা, কোচবিহার থেকে শুরু করে পরের পর হয়েছে। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে চলেছে ভারতবর্ষের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোও। সর্বশেষ উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা পুলিশকর্মী, তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে সেগুলো তারা জানেন। লজ্জার কথা দেশে দিনে গড়ে ৯০ জন মহিলা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ফলে যেটা খারাট ঘটনা সেটা খারাপ ঘটনা। কিন্তু এটা নিয়ে বলার অধিকার বা রাজনীতি করাটা যেন সিপিএম বা বিজেপি না করে।”
