Tuesday, December 16, 2025

ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এরই মধ্যে ফের বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা। এই বিষয় নিয়ে ফের একবার DVC-কে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। বৃহস্পতিবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে বন্যা, আবার ডিভিসি গতকাল জল ছেড়েছিল। বাংলা তো জল হজম করার জায়গা হয়ে গিয়েছে।” কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতায় জল জমলেও নেমে যায়। পাম্পিং সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। তা ছাড়া পলি সরানোর কাজটাও আমরা করেছি। অনেক সময় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় ইট, বালি ফেলে রেখেছে। নর্দমা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এটা বোঝা উচিত। যাতে নর্দমা বন্ধ না হয়। সাধারণ মানুষের বিপদ না হয়। কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।”

গত তিনদিনে প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল DVC-র পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়তে হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার একাংশে দামোদর নদ কার্যত ফুঁসছে। পুজোর আগেই ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার ফলে ওই এলাকায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। বুধবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ডিভিসির চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। পরিস্থিতি নজরে রেখে সময় মতো রিপোর্ট জমা দিতে সেচ দফতর প্রধান সচিব মণীশ জৈনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মেদিনীপুর জেলায় রয়েছি। এখানকার পরিস্থিতি নজরে রাখছি। সেচ দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন ডিভিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা সমস্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। গত বর্ষায় যে এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলিও দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।”

নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ও জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম যেমন, রেসকিউ গাড়ি, ইলেক্ট্রিক করাত, মই, মিনি জেনারেটর ইত্যাদি মজুত রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবারই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) দাবি করেছিলেন, “প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুত রয়েছে।”







Related articles

মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মিনি নিলামে নামছে কেকেআর, দল পেতে পারেন ঈশ্বরণ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction)। ৭৭টি জায়গার জন্য নিলামে উঠবেন ৩৫০ ক্রিকেটার। এই ৩৫০...

বাংলা না কি জ্বলছে! গদি মিডিয়ার অপপ্রচারকে ধুয়ে দিলেন সাধু থেকে আমজনতা

বাংলা না কি জ্বলছে! এখানে খুন-জখমের রাজনীতি চলছে! আক্রান্ত হিন্দু! গদি মিডিয়া এই খবর করতে এসেছিল কলকাতায় আর...

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...
Exit mobile version