বৃন্দাবনের গুরুজি’র কীর্তি, কাটোয়ার তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ!

যোগী রাজ্যের ধর্মগুরুর কীর্তি প্রকাশ্যে। নিজের শিষ্যার সাথে এই কাণ্ড? সামাজিক মাধ্যমে পরিচয়। ইউটিউবে ধর্মীয় বচন শুনেই গুরুজির (Gujuji) ভক্ত হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের তরুণী। এরপর তাঁর শিষ্যা। তারপর সাধনসঙ্গিনী। সেই গুরুজির বিরুদ্ধেই লাগাতার ধর্ষণ, এমনকী হুমকি ও আত্মহত্যায় (Suicide) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ওই তরুণী। অভিযোগ দায়ের হতেই কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court) জামিনের জন্য আবেদন করেন অভিযুক্ত ধর্মগুরু গোবিন্দ বল্লভ। তবে সেই আবেগ খারিজ হতেই কাটায়ো আদালতে (Katwa Court) আত্মসমর্পণ করলেন উত্তরপ্রদেশেরর (Uttar Pradesh) ধর্মগুরু।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই ধর্মগুরু সমাজমাধ্যমে পরিচিত মুখ। তাঁর ‘বচনে’ আকৃষ্ট হয়েই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই তরুণী। এর পর ২০২৩ সালে মে মাস নাগাদ বীরভূমের (Birbhum) একটি আসরে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। তার পরেই ধর্মগুরুর ‘ভক্ত’ থেকে ‘শিষ্যা’ হয়ে যান তরুণী। দীক্ষাদান মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙার একটি আসরে। তরুণীর দাবি, তাঁর জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘গুরুজি’ (Guruji)। তারই সুযোগ নিয়ে গুরুজি তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ তরুণীর। এর জেরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তরুণীর কথায়, এর পর গত জুলাই মাসে তরুণী গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদিও প্রাণে বেঁচে যান। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয় তাঁকে। একটু স্থিতিশীল হওয়ার পর জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়েরের পরই অভিযুক্ত গুরুজি আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। অবশেষে কাটোয়া আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন গোবিন্দ বল্লভ নামে ওই ধর্মীয়গুরু। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পর মঙ্গলকোট থানার (Mangalkote Police Station) পুলিশ গুরুজিকে তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। এবিষয়ে কাটোয়ার এসডিপিও (SDPO) কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।’’