লেডি জাস্টিসের মূর্তি বদল কোন যুক্তিতে? প্রশ্ন সুপ্রিম আইনজীবীদের 

শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বদলেছে ভারতের ন্যায় মূর্তি (statue of lady justice)। খুলেছে চোখের কালো বাঁধন, হাতে তরবারির পরিবর্তে এসেছে সংবিধান। দাঁড়িপাল্লাটি এক থাকলেও পরিবর্তন এসেছে লেডি জাস্টিসের পোশাকেও। নতুন মূর্তিটির অনেক বেশি ভারতীয় সাজসজ্জায় ‘অনাবশ্যক হিন্দুত্বকরণ’ চোখ এড়াইনি আইনজীবীদের। কিন্তু কোন যুক্তিতে বদল, এবার প্রশ্ন তুলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা (The Supreme Court Bar Association)।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI D Y Chandrachud) দেশের শীর্ষ আদালত চত্বরে সপ্তাহ খানেক আগে নতুন ন্যায় মূর্তির উন্মোচন করেছেন। তাঁর দফতর বলেছে, ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিকতার রীতি-রেওয়াজ থেকে বের করে আনতে প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বার অ্যাসোসিয়েশন (The Supreme Court Bar Association)এই যুক্তি যথাযথ বলে মনে করছেনা। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের (SC ) প্রতীক এবং পতাকাতেও বদল আনা হয়েছে। নীলরঙা নতুন পতাকায় রয়েছে অশোক চক্র, সুপ্রিম কোর্ট ভবন এবং সংবিধানের ছবি। এবার লেডি জাস্টিসের মূর্তি বদল নিয়ে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সংগঠন দ্য সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন জানতে চেয়েছে তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোন যুক্তিতে ওই সমস্ত পরিবর্তন আনা হল? বিষয়টি থেকে তাঁদের সম্পূর্ণ অগোচরে রেখে প্রধান বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে আইনজীবীদের তরফে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ করাও হয়েছে। বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বলের (Kapil Sibbal) নেতৃত্বাধীন আইনজীবীরাও মূর্তি বদলের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান যে, অ্যাসোসিয়েশনকে গুরুত্ব না দিয়ে সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্টে এরকম একাধিক বদল করা হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আপত্তি সত্ত্বেও দেশের শীর্ষ আদালতে পুরনো বিচারপতিদের গ্রন্থাগারে একটি সংগ্রহশালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অথচ বার (Bar Association) প্রথম থেকেই ওই স্থানে সদস্যদের জন্য সদস্যদের জন্য একটি ক্যাফেটেরিয়া, বৈঠকখানা এবং গ্রন্থাগার তৈরি করার কথা বলে আসছে। সুপ্রিম কোর্টের মতো উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত জায়গায় সাধারণ মানুষের জন্য মিউজিয়াম তৈরি করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। নতুন ন্যায় মূর্তিতে একদিকে হাতে সংবিধান অন্য দিকে পরনে ভারতীয় দেবীর মতো পোশাক কিছুটা হলেও যেন গোটা বিষয়টির গুরুত্ব লঘু করে দিয়েছে বলে মত, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের।