Wednesday, December 17, 2025

বাংলায় প্রভাব ফেলতে পারল না ‘ডানা’, অবিরাম বৃষ্টিতে ভোগান্তি দক্ষিণবঙ্গে

Date:

Share post:

আশঙ্কা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) দাপটের, তাই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। শুক্রবার সকালের আলো ফুটতেই দেখা গেল ‘ডানা’ (Dana) দাপট দেখাতে পারিনি বাংলায়। রাত জেগে নবান্নের (Nabanna) কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সকালেও বাড়ি গেলেন না, অক্লান্ত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ক্রমাগত তদারকি করে চলেছেন।

সাড়ে দশটার মধ্যে নবান্নে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাকি গোটা রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনও প্রভাব নেই। তবে আবহাওয়া দফতরের(Weather Department)পূর্বাভাস মতোই সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যস্ত জনজীবন। হাওয়া অফিস জানিয়েছে দিনভর বৃষ্টি চলবে, অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে হাওড়া – হুগলিতেও।

‘ডানা’ আসার খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর ছিল নবান্ন (Nabanna)। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সাত জেলায় মন্ত্রী, সচিব, আমলাদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম থেকে প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন মমতা। সকালেও সেই একই ছবি। কোথায় কতটা বৃষ্টি হয়েছে বা কোন কোন এলাকায় বাসিন্দারা আটকে রয়েছেন সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। শুক্রের সকালে তুলনামূলকভাবে দিঘার সমুদ্র অনেকটা শান্ত রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে জোরালো বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা, শঙ্করপুর এবং তাজপুরে। মন্দারমনির নীচু এলাকায় জল ঢুকেছে। রাত ৩টের পর সুন্দরবন এবং সংলগ্ন এলাকায় ঝড় শুরু হলেও তা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক তৎপরতার কারণে আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই কারণে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর নেই।প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙেছে, ৪০০ মাটির বাড়ি ধসে গেছে, প্রায় ৭৯ টি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে বলে খবর দিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩৬ টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে, ২৫টি রাস্তা অবরুদ্ধ। ৩৯টি জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন প্রায় ২৬৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে একাধিক গাছ পড়েছে, উপকূলে তিনশোর বেশি কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। ৫০টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি গঙ্গাসাগরে, জল থৈথৈ কপিল মুনির আশ্রম। সকাল থেকে একনাগারে বৃষ্টি হয়ে চলেছে কলকাতাতেও। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন ঠনঠনিয়া কালী বাড়ি চত্বর, মহাত্মা গান্ধী রোড, এলগিন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন।

spot_img

Related articles

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

আর দেড় মাসের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইপ্রেমীদের জন্য এ...

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...

যোগী রাজ্যে বাতিল ম্যাচ, সমালোচনার মুখে বিসিসিআই

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লখনউতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (India and South Africa )চতুর্থ টি২০ ম্যাচ ভেস্তে গেল।  গোটা...

বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, কোন রুটে হবে কলকাতা ম্যারাথন? জানুন বিস্তারিত

আগামী ২১ ডিসেম্বর টাটা স্টীল কলকাতা ম্যারাথন(25K Kolkata)। তার  আগে বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যারাথনের রুট ঘোষণা হল। ...