রাজনীতির ময়দানে এঁটে উঠতে না পেরে ক্রমশ ব্যক্তি আক্রমণের পথই বেছে নিয়েছে বামেরা। একের পর এক নেতা-নেত্রী থেকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে (social media handle) তার প্রতিফলন স্পষ্ট। তবে এবার রাজ্যের মন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে গোটা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের নামে কুরুচিকর ও প্ররোচনামূলক পোস্ট খোদ বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের (Minakshi Mukherjee)। বামেদের রুচিবোধের আসল চেহারা তুলে ধরে পোস্ট মুছে ফেলার দাবি করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

কিছুদিন আগে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে (Biman Bose) নিয়ে একটি কুরুচিকর পোস্ট ভাইরাল হয়। সেই পোস্ট নিয়ে নিন্দায় সরব হন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর প্রতিবাদের কারণে অনেকে পোস্ট ডিলিট (delete) করেন। তবে পাল্টা কোনও সৌজন্য দেখায়নি বামেরা। উল্টে ব্যক্তি আক্রমণের পথ নিয়েছে শূন্যের নামা বামেরা। একসময় সংস্কৃতির ধ্বজাধারী বামেরা পাড়ায় হিন্দিগান বাজানো নিয়ে অপসংস্কৃতির দাবি করতেন। সেই বামেদের ডিওয়াইএফআই সাধারণ সম্পাদিকা মীনাক্ষীর পোস্টে স্পষ্ট মুসলিম সমাজের (Islam community) প্রতি অবমাননার ছবিটা।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে একটি পোস্ট করেন মীনাক্ষী। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) ছবিকে বিকৃত করে ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে মসজিদ, মুসলিম সম্প্রদায়ের (Islam) মানুষের প্রতি কুরুচিকর ছবি জোড়া হয়। এআই দিয়ে তৈরি ছবিতে মদের বোতলের উপস্থিতিও ছিল স্পষ্ট। যে সিপিআইএমের (CPIM) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim) মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করার পক্ষে বারবার সরব হয়েছেন তারই যুবনেত্রীর কুরুচিকর পোস্ট নিয়ে তীব্র আক্রমণ প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় মীনাক্ষীর পোস্টের ছবি তুলে ধরে কুণালের কটাক্ষ, “তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম সিপিএমের রাজনৈতিক শত্রু হতে পারেন। কিন্তু তার ছবি বিকৃত করতে গিয়ে দাড়ি, বোতল, মুসলিম সমাজ, মসজিদের ছবি এনে অসম্মান, কুরুচির এই প্রতিফলন ধিক্কারযোগ্য। এই পোস্ট অবিলম্বে ডিলিট করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজনীতিতে পেরে না উঠলেই এমন বিকৃতি আসে। এই প্ররোচনামূলকভাবে কোনো ধর্মকে অপমান করা ঘোরতর অন্যায়। তবে, সিপিএম তো, এরকমই মানসিকতা স্বাভাবিক।”
