ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরে দম্পতির রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

পরিবারের অভিযোগ দম্পতিকে খুন করা হয়েছে।লালবাজারের হোমিসাইড শাখা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

ফাইল ছবি

ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরে দম্পতির রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে জোড়া দেহ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। তার শরীরে কোপানোর দাগ রয়েছে। ঘরের ভিতরে শাড়ির ফাঁসে ঝুলছিল স্ত্রীর দেহ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাড়ির সামনের রাস্তাতেও রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ দম্পতিকে খুন করা হয়েছে।লালবাজারের হোমিসাইড শাখা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। (Bhangar Couple Death)

রবিবার সকালে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়।জানা গিয়েছে, বাড়িতে ঘরের ভিতর, খাটের উপর পড়ে ছিল স্বামীর দেহ। তার ঘাড়ের কাছে, গলার কাছে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে।  এরই পাশাপাশি, মাথাতেও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরের মধ্যে থেকে একটি কুড়ুল উদ্ধার হয়েছে। ওই কুড়ুলে রক্তের দাগও রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি কোনও বিষয় নিয়ে অশান্তি বাধে? না কি এর নেপথ্যে তৃতীয় ব্যক্তির হাত রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পরিবার এবং পরিজনদের দাবি, স্বামী-স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে।

যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে, তার ঠিক উল্টো দিকে একটি দোকানে তিনটি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।স্বামী-স্ত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। স্বামী ছিলেন পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। ওই দম্পতির কিশোর ছেলে জানিয়েছে, দরজার ছিটকিনি ভাঙা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে মা-বাবাকে ওই অবস্থায় দেখতে পায় সে। পাড়া-পড়শিরা ছুটে আসেন ঘটনার কথা জেনে।

চন্দনেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে জোড়া দেহ উদ্ধার করে। নিহতের মেয়ের দাবি, গতকাল রাতেও মা-বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় তার। মা-বাবাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনিও। ওই দম্পতির মেয়ে বলেন, বাইরের লোক কেউ খুন করেছে। রাত ১০টার দিকে আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়। ঝগড়া-ঝাঁটি কিছু ছিল না। ঘরে তালা দিয়ে শুতেন। তালা ভাঙা মানে বাইরের লোক এই ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে। এই জোড়া মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।